গাইবান্ধায় কোটা আন্দোলন দুই মামলায় আসামী ৭০০ জন, গ্রেফতার ৭৭ জন
বায়েজিদ,(পলাশবাড়ী) গাইবান্ধা:
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গাইবান্ধায় আওয়ামীলীগ অফিস ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে অন্তত ৬০০ জনকে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৭৭ জন। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম মামুনেরএ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুই মামলায় ১২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ছয় শতাধিক জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হচ্ছে।
এর আগে গত ১৯ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ছাকা বাদী হয়ে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন। এ মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যিক বিষয়ক সম্পাদক এমারুল ইসলাম সাবিন এর ছেলে সৌমিকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সদর আসনে মহাজোট প্রার্থী আব্দুর রশিদ সরকারের ছেলে সিজনকেও মামলার আসামি করা হয়।
এ ছাড়া গত ১৭ জুলাই পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা করেছেন পুলিশের বাদি সদর থানা উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাতেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা ১৭ জুলাই জেলা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ১ নং রেলগেটে অবস্থান নেয় তারা। এ সময় আন্দোলনকারীদের ওপর ইট,পাটকেল নিক্ষেপ করলে উত্তেজিত হয়ে যায় তারা। আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে প্রথমে ভাঙচুর শুরু করেন তারা। পরে চত্বরের ৭ থেকে ৮টি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে হামলা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক,মেয়র মতলুবুর রহমান, সাংবাদিক ও আন্দোলনকারীসহ অনন্ত ১০০ জন আহত হয়েছেন।
পরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পাল্টা হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুদ রানা বলেন, মামলায় এখন পর্যন্ত ৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার অভিযান চলোমান রয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ড. ময়নুল হাসান সাদিক দাবি করে বলেন, এ পর্যন্ত বিএনপির ৮৬ নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।