দেশ ব্যাপী কারফিউ

কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর আর্থিক ক্ষতিতে ব্যবসায়ী শ্রমিকরা
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও দেশ ব্যাপী কাউফিউ জারির ফলে প্রায় সপ্তাহ ধরে স্থবির থাকার পর বুধবার সল্প পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম। এতে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে কয়েক লাখ টাকা। কর্মহীন হয়ে পড়েছে সোনহাট স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা। আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।
বন্দর কতৃর্পক্ষ জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে প্রথমে পরিবহন সংকটে পড়েন সোনাহাট বন্দরের ব্যবসায়ীরা। এরপর দেশব্যাপী কারফিউ ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়ায় গত শনিবার (২০/০৭/২৪) থেকে পণ্য আমদানি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ভারত থেকে কিছু পন্যবাহী ট্রাক আসলেও ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় খালাস হয়নি সেসব পণ্য। এতে বাড়তি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের। আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়ে বন্দরের হাজারও শ্রমিক। প্রায় সপ্তাহ ধরে এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েন শ্রমিকরা।
আমদানি—রপ্তানিকারকরা বলছেন, বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে পণ্য আননেও ইন্টারনেট না থাকার কারণে খালাস করতে পারেনি। অন্যদিকে সড়কে ট্রাক চলাচল না করায় বিক্রি বন্ধ ছিল। সব মিলে বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে এখানকার ব্যবসায়ীরা।
সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রাকীব আহমেদ জুয়েল বলেন, আন্দোলনের ফলে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তাতে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার সুযোগ ছিলনা। ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকল শ্রমিকও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তবে আমদানি রপ্তানিসহ বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক করার চেস্টা চলছে। ইন্টারনেট ব্যাবস্থা পুরোপুরি চালু হলে এ সংকট কাটিয়ে উঠবে।
সোনাহাট স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম ইসলাম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও কাউফিউ এর জেরে গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার বন্দরের কার্যক্রম বন্দ থাকায় প্রায় ২৫ লাখ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বুধবার থেকে সীমিত আকারে বন্দরের কার্যক্রম চালু হয়েছে। তবে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়নি এখনও। ফলে শ্রমিক, ব্যবসায়ী এবং সরকার পক্ষ সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।