সহিংস তাণ্ডবে সোয়া ৩ কোটি টাকা সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি

রংপুর সিটি কর্পোরেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুকে কেন্দ্র করে সহিংস তাণ্ডবে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রায় তিন কোটি ২০ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগর ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান রংপুর সিটি কপোর্রেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
এসময় তিনি কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি কোনো নিরাপরাধ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থাকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিটি মেয়র মোস্তফা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা রাত ১২টা পর্যন্ত দুষ্কৃতকারীরা রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপিত মূল্যবান সম্পদের ধ্বংস সাধন করে। ভাঙচুর, ক্ষতিগ্রস্ত ও লুটপাটকৃত মালামালের মধ্যে রংপুর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্থাপিত ক্যামেরাসমূহের মধ্যে ৬৪টি সিসি ক্যামেরা, নগরজুড়ে আনুমানিক ৩০ কিলোমিটার ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল, তিনটি এলইডি টিভি, নগর ভবনের প্রধান প্রবেশ ফটকে স্থাপিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ দুপাশে স্থাপিত চারটি সিসি ক্যামেরা, নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষ ও প্রশাসনিক ভবনের জানালার থাই গ্লাস, প্রধান ফটকের দুই পাশে অবস্থিত গার্ডেন লাইটসমূহ, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় রয়েছে। এ ছাড়া নগর ভবনের সামনে সামনে থেকে লালবাগ রেল ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার মাঝখানে, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ফুট ওভার ব্রিজের নিচের দুইপার্শ্বে অবস্থিত ডিভাইডার প্রটেকশন গ্রিল এবং শাপলা চত্তরের গোল চত্তরের গ্রিলসমূহ, জাহাজ কোম্পানি মোড় ও লালকুঠি মোড়ে স্থাপিত ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের দুইটি এলইডি সাইনসহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন সম্পদের ক্ষতিসাধন করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ক্ষয়ক্ষতির আনুমানিক পরিমান দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।
মেয়র আরও বলেন, দুষ্কৃতকারীদের হাতে থাকা লোহার রড, এসএস পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল দ্বারা ভাঙচুর আরম্ভ করলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় দুষ্কৃতকারীদের মারমুখী আচরণে নিরাপত্তাকর্মীরা পিছু হটলে তারা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপিত স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এসব ঘটনায় মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এ সময় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা, সচিব জয়শ্রী রানী রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আনিচুজ্জামান, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।