৩০ আষাঢ়, ১৪৩২ - ১৪ জুলাই, ২০২৫ - 14 July, 2025

নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রৌমারীতে গ্রেপ্তার

আমাদের প্রতিদিন
11 months ago
227


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ 

কোটা আন্দোলন চলাকালে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলার পর পালিয়ে যাওয়া বহুল আলোচিত কান্তা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মামুন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বামনেরচর গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মামুন মিয়া রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বামনেরচর গ্রামের শাহিনুর রহমানের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রৌমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মর্তুজা।

রৌমারী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৯জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলার পর অনেক বন্দী পালিয়ে যান।ওই দিন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মামুন মিয়াও কারাগার থেকে পালিয়ে রৌমারী যান। কারফিউয়ের মধ্যে ভ্যান, ইজিবাইক ও ট্রাকে চড়ে দুইদিন পর তিনি রৌমারী পৌঁছান। এরপর নিজ বাড়িতে আত্মগোপনে থাকেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে রৌমারী থানার এসআই তাজুল ইসলাম, জুয়েল, এএসআই জয়নালসহ পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার মামুনকে থানা হেফাজত থেকে আদালতের মাধ্যমে নরসিংদী কারাকর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

পুলিশ আরও জানায়, মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে নরসিংদীর বেলাবতে মার্জিয়া আক্তার কান্তা নামের এক নারীকে হত্যার অভিযোগে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। তিনি ওই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি নরসিংদী জেলা কারাগারে ছিলেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মার্জিয়া কান্তা ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার পার্লার ব্যবসায়ি ছিলেন। ২০১৯সালে কান্তার স্বামী শহিদুল ইসলাম সাগর ও সাগরের ফুফাতো ভাই মামুন মিয়া মিলে কান্তাকে কুয়াকাটা নিয়ে যান। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে দু’জন মিলে কান্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যান।

ওই হত্যাকান্ডের মামলার বিচারে আদালত প্রধান আসামি কান্তার স্বামী শহিদুল ইসলাম সাগরকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন এবং এক লাখ টাকা অর্থদন্ড করেন। অন্যদিকে তাঁর প্রধান সহযোগি মামুন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন আদালত।

   

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth