লালমনিরহাটে ইউএনও'কে অবরুদ্ধ করে সিসি ক্যামেরা খুলে নিয়ে গেল বৈষম্য বিরোধীরা!
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাট বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে। রোববার জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভাংচুরসহ বিভিন্ন স্থানে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইউএনও সহ কয়েকজন কর্মকর্তা অবরুদ্ধ করে রাখে বৈষম্য বিরোধীরা। সদর উপজেলায় পুলিশের সাথে ছাত্রদের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, সকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার বাজারে মিছিল বের করে। এ সময় তারা কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের একটি অফিস ভাংচুর করেন। উপজেলা পরিষদের ভিতরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ঈমামসহ অনেক কর্মকর্তা অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। বিক্ষোভকারীরা উপজেলা পরিষদের সিসি ক্যামেরা গুলো খুলে নিয়ে যায়। এ সময় লালমনিরহাট বুড়িমারী মহা সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
সদর উপজেলার মিশন মোড়ে শিক্ষার্থিরা মিছিল করলে প্রথমে পুলিশ টিয়ারশেল মারে। পরে ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে পুলিশ পিছুহটে। এ সময় সাংবাদিকসহ ২০ জন আহত হয়েছে।
জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, ভুল্লারহাট, তুষভান্ডার, আদিতমারী ও সদরে মিছিলসহ সড়ক অবরোধ করেছে। এ সময় পুলিশকে দেখা যায়নি। তবে সেনা বাহিনীর গাড়ি দেখা গেলেও তারা কোনো এ্যাকশনে যায়নি।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে পুলিশ। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।