হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে দিনাজপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ
বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ ও স্বস্তিতে বাঁচার দাবী
দিনাজপুর প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলার বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মন্দির ও বাড়ীঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে দিনাজপুরে শনিবার গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে সনাতনী হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সচেতন সনাতনী নাগরিক’ এর ব্যানারে এসব কর্মসূচী পালন করে তারা।
শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে শুরু করে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী আবাল, বৃদ্ধ, বনিতারা। এরপর তারা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করে। এসময় বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায়, দিনাজপুর জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক রতন সিং, ডা. ডিসি রায়, আহম্মেদ শফি রুবেল, কবি জলিল আহম্মেদ, নিখিল চন্দ্র রায়, রনজিৎ কুমার সিংহ, সত্য ঘোষ, সনদ চক্রবতীর্ লিটু, প্রফেসর ড. বিকাশ, তপু রায়, মিনতি দাস, মল্লিকা দাস, জয়ন্ত মিশ্র, সঞ্জিত কুমার রায়, গৌরঙ্গ রায়সহ বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ছাত্র—ছাত্রীসহ স্থানীয় সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীরা। এসময় বক্তারা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ ও স্বস্তিতে বাঁচার দাবী জানায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে ৪ দফা দাবী উত্থাপন করা হয়। দাবীগুলো হলো—“সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় গঠন করতে হবে, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে, সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ করতে হবে”।
এরপর তারা দিনাজপুর শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে মঙ্গলবার দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে ও বুধবার দিনাজপুরের প্রতিটি উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচীর ঘোষনা দেয়া হয়।