গঙ্গাচড়ায় বিদ্যুৎ বৈষম্য ও লোডশেডিং কমানোর দাবিতে মানববন্ধন
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পল্লী বিদুৎ সমিতি-২ এর বৈষম্য ও লোডশেডিং কমানোর দাবি তুলে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার টিম জিয়ন ও গঙ্গাচড়া উপজেলার সাধারন জনগনের আয়োজনে গঙ্গাচড়া বাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওয়াতাধীন গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) বরাবর স্মারকলিপি দেয় তাঁরা। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গঙ্গাচড়া উপজেলায় প্রায় ২ লাখ জনগোষ্টির বসবাস। যার মধ্যে অধিকাংশ লোক অবহেলিত বেকার ও নিম্নআয়ের, যাদের বসবাস দারিদ্রসীমার মধ্যে। আমাদের উপজেলায় অনেক পূর্বেই বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন হলেও অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হল যে, বিদ্যুতায়ন পর থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাট এলাকার একটি নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং হয়ে থাকে ফলে জনজীবন হয়ে উঠছে দুর্বিষহ চিকিৎসা সেবা ব্যাহত এবং কলকারখানা সহ ছোট ছোট খামার সমূহ বন্ধ হওয়ার উপক্রমসহ নতুন কোন কারখানা ও স্থাপনা গড়ে উঠার সম্ভাবনা কমে আসছে। ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনার ব্যাঘাতসহ লোকজন কর্ম হাড়াচ্ছে ফলে বেকার হয়ে পড়ছে বৃহৎ জনগোষ্টি। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কয়েকবার জানানোর পরেও কোন সমাধান হয়নি।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন টিম জিয়ন এর সমন্বয়ক রেজাউল করিম রাজি, প্রতিনিধি রিয়েল, সুমন, ইব্রাহিম, ফারুক প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যেখানে পাশ্বর্তী উপজেলাগুলোতে লোডশেডিং খুবই কম, সেখানে গঙ্গাচড়ায় আমরা ৫ থেকে ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছি। এতে করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সকল কাজে আমাদের ব্যাঘাত ঘটছে। পরিবারের অসুস্থ, বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রতি এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। কেনো এতো বৈষম্য।
এদিকে চাহিদার বিপরীতে অর্ধেক মেগাওয়াট বিদ্যুতের কারণে এই সংকট ও লোডশোডিংয়ের হেরফের হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওয়াতাধীন গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, গঙ্গাচড়ায় দিনের বেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১০ মেগাওয়াট আর রাতে ১৫ মেগাওয়াট। কিন্তু আমরা দিনে পাচ্ছি ৪ থেকে ৫ মেগাওয়াট রাতে ৬ মেগাওয়াট। তিনি আরো বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। এবিষয়ে আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।