বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল এর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী কাল
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কাল ০৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার। রংপুরের বিশিষ্ট সামাজিক-সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও শ্রমিক সংগঠক, মহান মুক্তিযুদ্ধের মুখপত্র সাপ্তাহিক রণাঙ্গন, সাপ্তাহিক মহাকাল ও দৈনিক দাবানল এর প্রতিষ্ঠাতা, রংপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল—এর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২০ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আজ বাদ যোহর রংপুর নগরীর মুলাটোলস্থ বাসভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন তার পরিবার। এছাড়াও সন্ধ্যায় রংপুর প্রেসক্লাবে তার স্মৃতিচারণ করে এক স্বরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সকল আত্মীয়—স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্খীসহ গণমাধ্যমকর্মী ও সংগঠকদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন দৈনিক দাবানল সম্পাদক ও তার পুত্র খন্দকার মোস্তফা সরওয়ার অনু। জানা যায়, ১৯৪৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের বুজরুক ঝালাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল। তার বাবা ডা. মোজাম্মেল হক খন্দকার ছিলেন একজন চিকিৎসক (এলএমএফ), মাতা মাজেদা বেগম ছিলেন একজন গৃহিনী। বহুগুণে গুণান্বিত খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল ৭৭ বছরের জীবনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, রংপুরের উন্নয়নসহ বিভিন্ন সংগঠনে নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি গণমাধ্যমের বিকাশ ও সাংবাদিকদের আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হন। তিনি করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর অন্তিতযাত্রায় চিরদিনের জন্য আড়ালে চলে যান। তার মৃত্যুতে একজন মহানুভব অভিভাবক শুন্যতা অনুভব করছে রংপুর তথা উত্তরাঞ্চলের সাংবাদিক সমাজ। মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা, তার অশেষ কৃপায় চুপ্পান্ন বছর আগে উত্তরাঞ্চলের মানুষের চাওয়া—পাওয়া আর প্রত্যাশা পূরণে মুক্তিযুদ্ধের রণক্ষেত্র থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল যে দেশপ্রেম নিয়ে পত্রিকার প্রকাশনা ও সম্পাদনা শুরু করেছিলেন। আজ উত্তরের সংবাদপত্র জগতে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বসখ্যাত সেই গোলাম মোস্তফা বাটুল নামের সেই মানুষটি নেই। কিন্তু বেঁচে আছে, তাঁর অমর সৃষ্টি। অথচ একাত্তরের রণাঙ্গন, পরে মহাকাল এবং আজকের এই দাবানলের শুরুটা ছিল নানা সংকটে ভরা। একজন বাটুলের নিরলস মেধা, পরিশ্রম ও সাহসিকতায় যেমন নামডাক ছড়িয়ে পড়ে তার সম্পাদিত প্রকাশনার। ঠিক তেমনি তিনি নিজেকে আবিষ্কার করেছেন অদ্বিতীয় হিসেবে। তার মৃত্যুবার্ষিকীর এ দিনে তিনি স্মরণ হোক গভীর শ্রদ্ধা আর ভালবাসায়।