বিরলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগ: ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন
আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর):
দিনাজপুরের বিরলে ১ টি কলেজ, ১ টি মাদরাসা ও ২ টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মও দুনীর্তির অভিযোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আহবায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয় জনতা। অভিযোগগুলোর তদন্ত করতে উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তফা হাসান ইমামকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অন্যান্যরা হলেন— উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোছাঃ রাবেয়া খাতুন, মহিলা বিষয়ক অফিসার রুনা পারভীন, সমাজসেবা অফিসার আনিসুর রহমান এবং আইসিটি অফিসার জাকির হোসেন। ওই তদন্ত কমিটিকে ৫ কার্য দিবসে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আহবায়ক উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বহ্নি শিখা আশা।
অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে উপজেলার ৯ নং ইউনিয়নের মাইনুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার অধিকারী, ওই কলেজের প্রভাষক আবু রাসেল হুদা, সহকারী অধ্যাপক আবু তাহের মোহাম্মদ মামুন ও প্রভাষক এ কে এম গোলাম কিবরিয়া। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ৮ নং ধর্মপুর ইউনিয়নের কামদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাল জালিয়াতি কারবারসহ অফিস কক্ষে বসে মাদক সেবনের অভিযোগ, কামদেবপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবুল কাশেম এবং ধর্মপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) আব্দুল মজিদ এর বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগ রয়েছে। ৪ নং শহরগ্রাম ইউনিয়নের নাড়াবাড়ী দারুল হাদিস সালাফিয়্যাহ মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জসিম উদ্দীন প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি হতে প্রাপ্ত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলায় মোট ১১ টি কলেজ ও ৪৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে অনেক শিক্ষক—কর্মচারী দিনের পর দিন অনুপস্থিত থেকেও বিগত ১৬ বছরে নিয়মিত সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন।
সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বহ্নি শিখা আশা’র নিকট কতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি সঠিক তথ্য বলতে পারেননি। তবে মাত্র ৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানান। তিনি আরো জানান, ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাফা হাসান ইমামকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ৫ কার্য দিবসে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বলে।