২৮ আশ্বিন, ১৪৩১ - ১৩ অক্টোবর, ২০২৪ - 13 October, 2024

পানি কমলেও তিস্তায় বাড়ছে ভাঙ্গন

আমাদের প্রতিদিন
1 month ago
46


হুমকির মুখে রংপুর-মহিপুর-পাটগ্রাম মহাসড়ক

নির্মল রায় গঙ্গাচড়া (রংপুর):

প্রমত্তা তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে প্রতি বছরই গৃহহীন হচ্ছে দু’পারের বাসিন্দারা। নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে আবাদী জমি, বাড়ী-ঘর, গাছ-পালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। চলতি বর্ষা মৌসুমে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তার ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে শতাধিক পরিবারের বাড়ী-ঘর। বর্তমানে তিস্তা নদীতে পানি কমতে থাকলেও ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে উপজেলার লহ্মিটারী ইউনিয়নের পশ্চিম শংকরদহ গ্রামে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে গঙ্গাচড়া তিস্তা সেতুর উত্তর প্রান্তের সংযোগ সড়ক।

চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে তিস্তা সেতু উত্তর প্রান্ত সড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পশ্চিমে ছিল তিস্তা নদী। অব্যহত ভাঙ্গনে গত ৪ মাসে প্রায় ৫০০-৬০০ মিটার পূর্বে সরে এসে সেতু সংযোগ সড়কের কাছাকাছি চলে এসেছে তিস্তা নদী। গত এক সপ্তাহে ওই গ্রামে ৪টি পরিবারের বাড়ী-ঘর নদীতে ভেঙ্গে গেছে। এরা হলেন- মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে সাজু মিয়া (৫৪) ও দুদু মিয়া (৪৬), মৃত হোসেন আলীর ছেলে আলিমুদ্দিন (৭৫) এবং মৃত পেড্ডার ছেলে দুলাল মিয়া (৪৮)।

এছাড়াও চলতি বর্ষা মৌসুমে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ২৫০টিরও বেশি পরিবার ভাঙন আতঙ্কে তাদের ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিয়েছে।

উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, পশ্চিম ইচলি, পূর্ব ইচলি, চল্লিশসাল; মর্ণেয়া ইউনিয়নের তালপট্টি, আলফাজটারী, নরসিংহ, হরিণচরা; কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর মটুকপুর, চর চিলাখাল, মধ্য চিলাখাল ও নোহালী ইউনিয়নের বাগডহরা, মিনার বাজার এলাকায় তিস্তার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে এসব বাড়ী-ঘর। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ভাঙ্গন কবলিত এলাকা হচ্ছে মর্নেয়া ইউনিয়নের গ্রামগুলো।

শংকরদহ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোন্নাফ জানান, গত এক সপ্তাহে পশ্চিম শংকরদহ গ্রামে ৪ পরিবারে বাড়ী নদীতে ভেঙ্গে গেছে। এদের ৩ জন বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিলেও দুদু মিয়ার কোন জায়গা জমি না থাকায় তিনি পাশের বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়ে পরিবারসহ দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার  নাহিদ তামান্না বলেন, ‘আমাদের কাছে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া এখন পর্যন্ত প্রায় ৮৫টি পরিবারের তালিকা আছে। ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলোকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হছে। এ ছাড়াও তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারীভাবে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth