বদরগঞ্জে পাঠানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় দুনীর্তির আখড়ায় পরিনত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার পাঠানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় দুনীর্তির আখড়ায় পরিনত হয়েছে । প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে । বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে স্থানীয় এমপির মদদপুস্ট সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিলে নিয়োগ বানিজ্য, একাডেমিক বিল্ডিং, কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। এছাড়াও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দোকান , জমি,পুকুর লিজ দিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন । প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবক ।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ৪র্থ শ্রেনির ৪টি পদে লোক নিয়োগ দিয়েছেন । তাদের নিকট থেকে প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা গ্রহন করেছেন সভাপতি মেনহাজুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন । এছাড়াও বাচ্চু মিয়ার ছেলে ফেরদৌস এর নিকট থেকে ৪ লক্ষ টাকা গ্রহন করেও তাকে চাকুরি না দিয়ে ,রঞ্জু নামের এক ছেলের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তাকে চাকুরি দেয় । এ ছাড়াও প্রধান শিক্ষকের আপন ভাগিনা বউকে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা ও ১৯ শতক জমি ভাগিয়ে নিয়েছেন । সভাপতি মেনহাজুল ইসলাম ও আওয়ামীলীগ নেতা বুলবুল খান মিলে বিদ্যালয়টিকে পৈত্রিক সম্পত্তিতে পরিনত করেছেন । তাদের উপর দিয়ে কেউ কথা বললেই তার উপর নেমে আসে পুলিশি হয়রানি সহ নানাবিধ অত্যাচার । এ জন্য কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পেত না ।
ক্ষমতার দাপট দেখিযে বিদ্যালয় থেকে মাত্র ৫০ গজ দুরে অবৈধবাবে একতা ব্রিকস নামে ইটভাটা নিমার্ন করে ব্যবসা করে আসছে । সেখানেও মানুষের নিকট থেকে জোর পূর্বক জমি লিজ নিয়ে তিন ফসলি জমিতে মাটি কেটে গর্ত করেছেন ।
অপরদিকে পাঠানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে ৬ একর জমি, ৪টি পুকুর ও ১১০টি দোকান ঘর ,১টি ফলের বাগান প্রতি বছর লিজ দিয়ে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন । এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট হিসাব চাইলে তিনি ৫ আগষ্টের পর গা ঢাকা দিয়েছেন । মাঝে মধ্যে আওয়ামীলীগ ক্যাডারদেরকে সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে লেখাপড়ার কোন পরিবেশ নেই। ছাত্রদের নিকট থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নিয়ে সব আত্মসাত করেন । বিদ্যালয়ের জমি জাগা দোকানপাট সব লিজ দিয়ে সভাপতি আর প্রধান শিক্ষক ভাগ বাটোয়ারা করে খান । তার সাথে যোগ দিয়েছেন এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা বুলবুল খান । এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
এ বিষয়ে সভাপতি মেনহাজুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তাকে পাওয়া যায়নি ।
প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন জানান, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে । আমি কোন দুনীর্তির সাথে জড়িত না ।