মামলা রেকর্ড না করে বাদিকে হুমকি দিলেন ওসি
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
মামলা রেকর্ড না করে উল্টো বাদিকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার ওসি গোলাম মতুর্জার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আবুল হাশেম নামের এক কলেজ প্রভাষক বাদি হয়ে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার মির্জাপাড়া গ্রামের বাদি আবুল হাশেমের সাথে পার্শ্ববতীর্ ইজলামারী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে উভয় পক্ষের জমিসংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলা রয়েছে।
এদিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাদি আবুল হাশেমকে দুবৃর্ত্তরা ভয়ভীতি, হুমকি প্রদর্শন করেন। পরে ২৭ আগষ্ট এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ থানায় দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১ সেপ্টেম্বর আবারও প্রতিপক্ষের লোকজন বাদিকে পথরোধ করে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর আফসার আলীসহ ১২জনকে আসামী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে অভিযোগ দায়েরের পরেদিন ৩ সেপ্টেম্বর রৌমারী থানার উপ—পরিদর্শক (এসআই) ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন। ঘটনার সত্যতা থাকার পরেও মামলা রেকর্ড না করে উল্টো অভিযোগ থেকে ‘মোটরসাইকেলের গতিরোধ করা এবং মোটরসাইকেল থেকে নামতে বাধ্য করা’ লেখাটি বাদ দিতে চাপ প্রয়োগ করেন ওসি বাদিকে। এদিকে দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে ওই লেখাটি বাদ দিবেন না বাদি বলে ওসিকে জানান। এনিয়ে থানার ওসি’র অফিস কক্ষে বাদি—ওসি’র মধ্যে বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ওসি অভিযোগের বিষয়ে মামলা রেকর্ড করবে না বলে বাদিকে হুমকি দেন।
মামলা রেকর্ড না করায় এবং সঠিক বিচার চেয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের কাছে ওসি গোলাম মতুর্জার নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদি আবুল হাশেম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে ডেকে নিয়ে থানায় অভিযোগের দু’টি লাইন বাদ দিতে বলেন ওসি, পরে আমি রাজি না হওয়ায় হুমকি, ধামকিসহ দুর্ব্যবহার করেন তিনি। আরও বলেন, এ কারণে আমি মারাত্নকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মর্তুজা অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে ঘটনাস্থল যেতে বলেন। আর সেদিন থানায় কিছুই ঘটেনি। ওনি (বাদি) মিথ্যা রটাচ্ছেন।
সহকারি পুলিশ সুপার (রৌমারী সার্কেল) মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তদন্তের একটি চিঠি এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাফুজুল ইসলাম জানান, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেযেছি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য রৌমারী সার্কেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।