পীরগঞ্জে জ্যোতিডাঙ্গা বিলে মাছ ধরা নিয়ে মারপিট আহত ২
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সরকারি লিজকৃত জ্যোতিডাঙ্গা বিলে জোরপূর্বক ভাবে মাছ ধরার চেষ্টা অতঃপর মারপিটে আহত ২।
জানাযায়, সরকারি বিধি মোতাবেক উপজেলার জলমহাল ম্যানুয়াল অনুযায়ী পাঁচগাছি ইউনিয়ন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড বাংলা ১৪৩১ হইতে ১৪৩৩ সাল পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য লিজ প্রদান করা হয়। সেই অনুযায়ী প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ ছাড়েন উক্ত বিলটিতে ডাককারীগং। সমিতির লোকজন সোমবার সকালে বিলে মাছ ধরতে গিয়ে দেখেন কেশবপুর গ্রামের তোজাম্মেল হোসেন, আব্দুল সালাম মিয়া এবং জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন ব্যক্তি অই বিলে মাছ ধরছেন। এসময় জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের মৃত সাহেব আলী মন্ডের ছেলে মাফু মন্ডল (৫০) তাদেরকে মাছ ধরতে নিষেধ করে। মাছ ধরা লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মাফু মন্ডল কে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করতে থাকে। তার ডাক চিৎকারে সমিতির লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে মাছ নিয়ে সটকে পরে এসব লোকজন। আহত মাফু মন্ডল কে উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা সেবা নেয়।
পাঁচগাছি ইউনিয়ন মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি জয়দাল মন্ডল এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিধি মোতাবেক জলমহাল ডাকের মাধ্যমে জ্যোতিডাঙ্গা বিল আমাদের সমিতির নামে ৩ বছরের জন্য লিজ প্রদান করে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ তকি ফয়সাল তালুকদার। আমাদের সমিতির লোকজন ২০ লাখ টাকার মাছ ছাড়েন উক্ত বিলটিতে। আমরা এখন হরদমই মাছ তুলে বিক্রি করছি। জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের নজরুল ইসলাম, কেশবপুর গ্রামের তোজাম্মেল ও আব্দুর সালাম মিয়াসহ হঠাৎ করে ৩০/৪০ জন আমাদের বিলে মাছ ধরতে আসে। আমাদের লোকজন তাদেরকে বাধা দিলে মাফু মন্ডল কে মাপিট করে মাছ নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। আমরা চুরি করে মাছ ধরার সঠিক বিচার চাই।
কেশবপুর গ্রামের তোজাম্মেল হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিলটি বিধি মোতাবেক ডাক হয়নি । সেই কারনে আমরা হাইকোর্টে বিলের বিষয়টি নিয়ে রিট করেছি এবং মহামান্য হাইকোর্ট ৬ মাসের জন্য ওদেরকে মাছ ধরতে নিষেধ করে এবং সাধারণ জনগণে কে মাছ ধরার আদেশ দেয়। সেই কারনে এলাকার লোকজন ঘটনার দিন সকালে মাছ ধরতে গিয়ে মার খেয়ে বাড়িতে ফেরে।
পাঁচগাছি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধ ও চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া জানান, উপজেলা প্রশাসন ম্যানুয়াল অনুযায়ী পাঁচগাছি মৎসজীবি সমবায় সমিতি কে ইজারা প্রদান করেছে। ধারিত ইজারার টাকা সরকার কে বুঝে দিয়ে তারা মাছের চাষ করছেন। হাইকোর্টে কে-বা কাহারা মামলা করলো তাতে ইজারাদারের কি তাছাড়া কাগজপত্র অনুযায়ী ইজারা নিয়েছে বিল সমিতির লোকজন । হাইকোর্টে মামলা হলে তার জন্য উপজেলা প্রশাসন রয়েছে তারাই সমাধান দিবে।