মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি:

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান পেয়ারী বেগম দায়িত্ব পালন শুরু করায় জনদুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে তিনি দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার চেংমারী ইউনিয়ন পরিষদে গত নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রেজাউল কবীর টুটুল।  ইউনিয়ন পরিষদে গত ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল সাধারণ সভায় ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য পেয়ারী বেগমকে এক নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনিত করা হয়।

  গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে।  এরপর তিনি ভারতে পালিয়ে যান। সেই দিনই চেংমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও এলাকা ছেড়ে চলে যান। ইউনিয়ন পরিষদে যাননি। এর কিছুদিন পর গত ১৮ আগষ্ট

 তিনি ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার বাধায় কার্যালয়ে বসতে পারেননি। এর পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে।  এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও'র পরামর্শে প্যানেল চেয়ারম্যান পেয়ারী বেগম ৮ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান। জন্ম নিবন্ধন ও নাগরিক সনদপত্রে স্বাক্ষর করেন।  কিন্তু,  এতে বাধ সাধেন কয়েকজন পুরুষ ইউপি সদস্য। তারা পেয়ারী বেগমকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেন। একজন নারীকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে দেবেন না বলে জানিয়ে দেন এবং নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে দেন।কিন্তু, দমে যাননি তিনি। 

পরে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে গতকাল আবারও তিনি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে কাজ শুরু করেন। এর ফলে,  মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে।

করতে পারছেন না।

প্যানেল চেয়ারম্যান পেয়ারী বেগম বলেন,  আমি শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছি, অপরাজিতা নেটওয়ার্ক এর সাথে জড়িত,  জিআইজেড এর মাধ্যমে শালিস করে সুষ্ঠু সমাধানসহ নানা সামাজিক কাজ করে থাকি। এসব বিবেচনায় আমাকে এক নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনিত করা হয়েছে। জনগণের দুর্দশার কথা ভেবে আমি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। জনগণও খুব খুশি। আমি তাদেরকে সেবা দিতে পেরে খুশি।