গঙ্গাচড়ায় ঘাঘটের বালু লুটঃ অর্ধশতাধিক পয়েন্টে অবৈধ খননযন্ত্র বসিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে বালু উত্তোলন
নির্মল রায় গঙ্গাচড়া (রংপুর):
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ঘাঘট নদীতে অবৈধভাবে খননযন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে বালু লুট করছেন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। এতে করে প্রতিনিয়ত ঘাঘট নদের পেটে যাচ্ছে কৃষকের চাষাবাদকৃত ফসলি জমি। ভাঙন হুমকিতে আলমবিদিতর ইউনিয়েনর পূর্ব মেছনিকুন্ডা আবাসনসহ প্রায় শত শত একর ফসলি জমি।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি বাজার এলাকায় ঘাঘট নদের উপর নির্মিত ব্রিজ থেকে দক্ষিণে গঙ্গাচড়া উপজেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঘাঘট নদীর দু পার্শ্বে ধারাবাহিকভাবে প্রায় অর্ধশতাধিক পয়েন্টে অবৈধ খননযন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে ঘাঘটের বালু উত্তোলন।
আলমবিদিতর ইউনিয়নের মেছনিকুন্ডায় আবাসন এলাকার অবৈধ বালু পয়েন্টে কথা হয় ড্রেজার মেশিনের মালিক রিপন মিয়ার সাথে তিনি বলেন,‘মানুষ বাড়ি করবে এজন্যই একটু বালু তোলা হচ্ছে। আমাদের সামনে ও পিছনে ৫ থেকে ৬ টা মেশিন লাগিয়ে বালু তুলছেন বালু ব্যবসায়ী হামিদুল। কয়েকদিন আগে কবরের কথা বলে প্রায় ১ লাখ টাকার বালু বিক্রি করেছে। তার বাড়ির পিছনে এখনও মেশিন লাগানো আছে। এখানের বড় ব্যবসায়ী হচ্ছে হামিদুল।
পরে অবৈধ বালু ব্যাবসায়ী পাইকান দোলাপাড়ার হামিদুল এর সাথে কথা হলে তিনি জানান ,‘আমার বাড়ি ভাঙতে ধরছিলো এজন্য ইউএনও স্যার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে আমাকে ৭০০ জিও ব্যাগ দেওয়া হয়েছিল, এসব জিও ব্যাগ ভর্তি করার জন্য ঘাঘট থেকে বালু তুলেছি, আর কিছু বালু বিক্রি করছি।
তবে বড়াইবাড়ী এলাকার বাসিন্দা কৃষক লাভলু মিয়া জানান,‘ অবৈধ বালু ব্যবসায়ী হামিদুলের প্রধান কাজেই হচ্ছে ঘাঘটের বালু লুট করা আর বিক্রি করা। এর কারণে আমার প্রায় ১৫০ শতকের মাটি ঘাঘটে ভেঙে গেছে। সরকার পতনের পর আরও অনেক কয়টা নতুন বালু ব্যবসায়ী তৈরী হইছে। এসময় লাভলুসহ স্থানীয়রা অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন,‘কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে আমাদের জানালে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো'।