পীরগঞ্জে ফুলকপি চাড়া উৎপাদন কাজে ব্যস্থ মাহাবুবার
আজাদুল ইসলাম আজাদ, পীরগঞ্জ রংপুর:
রংপুরের পীরগঞ্জ শীতের আগাম জাতের সবজি চাড়া বিক্রি করে স্বাবলম্বী মাহাবুবার রহমান। গত কয়েকবছর ধরে তিনি বর্ষামৌসুমের শুরু থেকে শীত মৌসুমের শেষ পর্যন্ত ফুলকপি এবং বাধা কপির চাড়া বিক্রি করে আসছে। নার্সারিতে শীতকালীন সবজির চাড়া বিক্রি করে তিনি লাভবান হয়েছেন। যে কারনে প্রতিবছর তিনি আগাম শীতকালীন সবজির চাড়া নিয়ে ব্যস্থসময় পার করে থাকেন।
পীরগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের ফয়জার রহমানের ছেলে মাহাবুবার রহমান। গত কয়েক বছর থেকে বাড়ির পাশে ১০ শতাংশ জমিতে শীতকালীন সবজি ফুলকপির চাড়া তৈরি কাজে ব্যস্থ থাকেন। চাড়া বিক্রি করে তিনি স্বাবলম্বী।
স্থানীয়রা জানান, মাহাবুবার রহমানের নার্সারীর চাড়ার মান ভালো এবং গ্যারান্টি সহকারে বিক্রি করে যে কারনে বিভিন্ন এলাকা থেকে কপি চাষিরা এসে চাড়া কিনে চাষাবাদ করে। তাছাড়াও ফুলকপির চাড়া তৈরি করতে অতিরিক্ত পরিশ্রম বা কষ্ট করতে হশ। যে কারনে অনেক চাষি চাড়া কিনে জমিতে রোপণ করে।
মাহাবুবার রহমান বলেন, বর্ষামৌসুমের শুরু থেকে বীজতলা তৈরী করি এবং আবহাওয়া ভালো দেখে বীজ তলায় বীজ ফেলি। বীজতলায় অনেক শ্রম দিয়ে চাড়ার পরিচর্যা করতে হয় । ২ জন মানুষ দিন-রাত এই বীজ তলায় পরিচর্যা কাজে লেগে থাকতে হয়। কষ্ট যতই হোক না কেন চাড়া বিক্রির টাকা হাতে পেলে কষ্টের কথা মনে থাকে না । এখানে কষ্ট ও শ্রম থাকলেও এটি লাভজনক ব্যবসা।
এবছর প্রচন্ড তাপমাত্রার কারনে চাড়া গাছ বেঁচে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। সকাল সন্ধ্যা দুবার করে বীজ তলায় পানি সেচ দিয়েও অনেক চাড়া নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সহজেই চাড়া তৈরির কাজ করা যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার জানান,উপজেলায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি স্থানে নার্সারী রয়েছে। সকল নার্সারীতে শীতকালীন সবজি চাড়া তৈরিতে ব্যস্থসময় পার করে নার্সারীর চাষিরা। এ উপজেলায় সকল সবজি উৎপাদনের আড়ং এবং এখানে সবরকমের সবজির চাষ করা হয়। এলাকার চাষিরা উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ নিয়ে ফুলকপির চাষ করে থাকে। তবে বিশেষ করে নার্সারী গুলোতে ভালো মানের বীজের চাড়া উৎপাদন করে থাকে বলে তিনি জানান।