গ্যান্ডারি চাষে আগ্রহ বাড়ছে পীরগঞ্জের কৃষি পল্লীতে
আজাদুল ইসলাম আজাদ, পীরগঞ্জ:
রংপুরের পীরগঞ্জে কৃষি জমিতে গ্যান্ডারি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে চাষিরা। ফলে গ্যান্ডারি চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের মাঝে।
এ উপজেলায় ধান-পাটসহ সকল জাতের ফসল চাষ করা হলেও ধান চাষে লোকসানের বোঝা গুনতে হয়। যে কারণে ধানের জমিতে গ্যান্ডারি আখের চাষ বেড়ে যাচ্ছে । অনেক কৃষক নতুন ফসল হিসেবে গ্যান্ডারি আখ চাষ শুরু করে, তাদের সফলতা দেখে অনেকেই এখন এই আখ চাষে ঝুঁকছেন।
আখ চাষি কাঙ্গুর পাড়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান বলেন ৮ শতক জমিতে প্রতিবছর ধানের চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পারেনি । অই জমিতে পৌষ মাসে গ্যান্ডারি আখ রোপণ করে। বর্তমানে ধান চাষের চেয়ে গ্যান্ডিতে লাভের হিসাব বেশি। তাছাড়াও এই আখ বিক্রি নিয়ে আলাদা কোনো চিন্তা নেই ব্যবসায়ীরা জমি থেকে নগদ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে যায়।
বগেরবাড়ী এলাকার আফছার আলী ধান চাষ করে লাভের মুখ দেখতে না পেয়ে গ্যান্ডারির চাষ করেন। এতে তিনি ভালো লাভবান হয়। তার দেখে অন্যরাও আখের চাষে ঝুঁকছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায় , উপজেলায় প্রায় ৩’শ হেক্টর জমিতে ইক্ষু চাষ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে গ্যান্ডারি প্রায় ৮ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে।
অনেকেই বলছেন, গ্যান্ডারির চাষ করতে পারলে লোকসান নয় বরং লাভই হয় বেশি। বাজারে এক পিস আখ ২৫ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। একটি দাম যদি ৩০ টাকা হয় ১ হাজার আখের দাম কতো।
কৃষি শিক্ষক সুমন মিয়া জানান,নিজস্ব পরিকল্পনা ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে এলাকার কৃষকরা মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এ অঞ্চলের কৃষক তাদের পরিশ্রম কাজে লাগিয়ে চাষাবাদ করে। যে কারণে তারা সফল হতে পারে। আগস্ট মাসের শুরু থেকে ক্ষেতের আখ স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন,গ্যান্ডারি আখ চাষ লাভজনক তাই স্থানীয় কৃষকরা আগ্রহে সাথে এ চাষের দিকে এগিয়ে আসছে। এতে তেমন একটা খরচ নেই। অন্য ফসলের জমির আইলেও গ্যান্ডারি চাষ করা যায়, সঠিক ভাবে পরিচর্যা করা হলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। আখের রোগ-বালাইও কম। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে আখ চাষের উপযুক্ত সময়। এই মৌসুমে ফলন হয় প্রায় দ্বিগুন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্যান্ডারি চাষ করা হয়। তবে এখানকার চাষিদের গ্যান্ডারি চাষে আগ্রহী আনেক।