কুড়িগ্রামে উপজেলা প্রকৌশলীর ঘুষ বানিজ্য ও দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ সাধারণ ঠিকাদাররা
কুড়িগ্রাম ও উলিপুর প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম এলজিইডির উলিপুর উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমারের স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ সাধারণ ঠিকাদাররা। ঘুষের টাকা অগ্রীম না পেলে ফাইলে সহি করেন না এই প্রকৌশলী। আবার অগ্রীম টাকা দিয়েও মাসের পর মাস ফাইল আটকে রাখেন। এছাড়াও সময় মত অফিস আসেন না, ধরেন না ঠিকাদারদের মোবাইল ফোনও। রংপুরে বাড়ি হওয়ায় তিনি অফিসে আসেন দুপুর ১২টা থেকে ১ টায়। এতে করে সাধারণ ঠিকাদাররা হয়রানির শিকার হন। এতে সরকারের উন্নয়ন কাজেও ব্যাঘাত ঘটে বলে ঠিকাদারদের অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার চলতি বছরের ৩রা এপ্রিল/২৪ ইং তারিখে উলিপুর উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর প্রায় ১৫/২০ দিন তিনি ঠিকমত অফিস করে সবাই কে তাক লাগিয়ে দেন। তার কাজ কর্ম দেখে সাধারণ ঠিকাদাররা ভাবেন তিনি কাজের লোক। এভাবে কাজ করলে উপজেলায় বেশ ভালো কাজ হবে। কিন্তু না এটা ছিল তার লোক দেখানো এবং ঘুষ বানিজ্য করার একটা কৌশল মাত্র।
এরপর শুরু হয় তার ঘুষ বানিজ্যের পায়তারা। সাধারণ ঠিকাদাররা কাজ শেষে তাদের বিলের ফাইল, জামানতের ফাইল এবং সিকিউরিটির ফাইল নিয়ে তার কাছে গেলে, সে ঘুষের অগ্রীম টাকা না পেলে ফাইলে সহি করেন না। এমন কি টাকা নিয়েও সাধারণ ঠিকাদারদের হয়রাণি করতে থাকেন মাসের পর মাস। কারণ ফাইলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী,উপজেলা প্রকৌশলী সহি করার পর সেই ফাইলটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর করার পড় ট্রেজারীতে গেলে ঠিকাদাররা বিলের চেক পান। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে ভালো সম্পর্ক না থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ফাইল গেলে সে ফাইলে স্বাক্ষর করতে বিলম্ব করেন। কারণ ফাইল সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বোঝাতে পারেন না। আর এতে করে ঘুষের টাকা অগ্রীম দিয়েও ঠিকাদাররা সময় মত তাদের বিলের টাকা পান না। ্লএমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় উলিপুর উপজেলার এলজিইডির উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে পরেছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর দেবার প্রয়োজন বলে মনে করেন সাধারণ ঠিকাদাররা।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে লাভ নেই। একথা বলে তিনি বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতাউর রহমান জানান, আমার উপজেলায় যে সমস্ত ঠিকাদার কাজ করেন তাদেরকে আমি বলেছি কোথাও কোন টাকা পয়সা দিবেন না। তিনি আরো বলেন আমার কাছে ফাইল আসলে আমি চেষ্টা করি তা তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেবার জন্য।
বিষয়টি নিয়ে কুড়িগ্রাম এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুজ্জমানকে বারবার ফোন দিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।