পীরগাছার সৈয়দপুর মাদ্রাসায় ভাংচুর ও অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ: মানববন্ধন
পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সৈয়দপুর কারামতিয়া দ্বি—মুখী ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: নাজমুচ্ছায়াদাত হেলালকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত ও তার কক্ষে তালা লাগানোর ঘটনায় মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে শতাধিক শিক্ষার্থী ঘটনার সাথে জড়িত কয়েকজন শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।
জানা গেছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টারের কার্যালয় থেকে বিদ্যমান গর্ভানিং বডি ও এডহক কমিটি বাতিল করে আদেশ জারি করা হয়। এ বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক কোহিনুর বেগম ও আব্দুস সালাম তার লোকজন নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: নাজমুচ্ছায়াদাত হেলালের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরদিন গত মঙ্গলবার সকালে কে বা কাহারা গোপনে অফিস কক্ষের তালা খুলে রাখলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অফিস কক্ষে বসেন। সকাল ১০ টার দিকে মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক কোহিনুর বেগম ও আব্দুস সালাম এবং কোহিনুর বেগমের তার ছোট ভাই নাজমুল হকের নেতৃত্বে একদল বহিরাগত লোকজন নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হেলালের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা কয়েক দফা তাকে অপহরেনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হেলালকে শারিরিক ভাবে মারপিট করে লাঞ্চিত করে। তাৎক্ষনিক ভাবে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে ঘিরে ধরে রক্ষা করেন। বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা গতকাল বুধবার সকালে মানববন্ধন করে এবং বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী রনি মিয়া, মোছা: জান্নাতী আক্তার, মিতু আকতার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারি অধ্যাপক কোহিনুর বেগম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: নাজমুচ্ছায়াদাত হেলাল বলেন, মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক দীর্ঘদিন থেকে মাদ্রাসা ধ্বংসের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তারা কমিটি বাতিলের ঘটনা নিয়ে আমার উপর হামলা করে লাঞ্চিত করে এবং আসবাবপত্র ভাংচুর করে। আমি বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।