রৌমারীতে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার, শাশুড়ি পলাতক
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে হযরত আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রৌমারী বাজারের ইসলামী ব্যাংকের সামনের একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রৌমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল হেলাল মাহমুদ। তিনি জানান, ২৩ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের অভিযোগ এনে শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে ২৪ সেপ্টেম্বর মামলা রুজু করা হয়। বাদি এ মামলায় তার শ্বশুর হযরত আলী ও শাশুড়ি রওশান আরাকে আসামী করেন।
পুলিশ, স্থানীয় ও ভুক্তভোগির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাত বছর আগে হযরত আলীর ছেলে আব্দুর রশিদের সাথে নির্যাতিতার বিবাহ হয়। গত দুই বছর আগে স্বামী বিদেশ পাড়ি জমায়। স্বামী বাড়িতে না থাকায় শ্বশুর হযরত আলী বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
এতে সে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে রাতের আঁধারে হযরত আলী বেড়া ভেঙে পুত্রবধূর ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক গামছা দিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় ওই নারীকে। পরেরদিন এ ঘটনা তার স্বামীকে জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এদিকে নির্যাতিতা নারী অন্তঃসত্বা হলে শাশুড়ি রওশন আরা গাছ—গাছরার ঔষধ খাইয়ে অন্তঃসত্বা নষ্ট করে দেয়।
এতে সে গুরুতর অসুস্থ্য হলে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক।
এঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে রৌমারী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলার রুজুর পর ধর্ষক হযরত আলীকে আটক করলেও শাশুড়ি রওশন আরা পলাতক রয়েছেন।
রৌমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত হযরত আলীকে বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামীকেও ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।