কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির শংকায় সীমান্ত হাট না খুলতে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ মাধ্যম করে এই আবেদনটি দেয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর আবুল বাশার আব্দুল লতিফ,সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, বায়তুলমাল সম্পাদক প্রফেসর মন্তাজ আলী, কোদালকাটি ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মফিজুল হক, রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন সভাপতি শাহাব উদ্দিন,সেক্রেটারি মাওলানা আইয়ুব আলী, মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাওলানা হযরত আলী, ইউনিট সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

আবেদনে বলা হয়, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী এবং ভারতের কালাইয়ের চর সীমান্ত হাট অবস্থিত। দীর্ঘদিন এই সীমান্ত হাট বন্ধ রয়েছে। পুনরায় এই হাট চালু হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষা হুমকিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয় সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এখানে অবৈধভাবে মদ, গাঁজা, ইয়াবা, এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বিস্তার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব কার্যকলাপ যুব সমাজকে বিপথগামী করবে এবং এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। এছাড়াও ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্যের বৈষম্য সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি অবৈধভাবে অস্ত্র ব্যবসার রুট হিসেবে ব্যবহৃত হবার সম্ভাবনা উল্লেখ করা হয়।

এই বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমীর আবুল বাশার আব্দুল লতিফ বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত পালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আজকে বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করে এই হাটটি যেন খোলা না হয় সে বিষয়ে একটি আবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দিয়েছি। প্রয়োজনে হাট বন্ধ রাখতে আমরা মন্ত্রণালয়েও আবেদন দিব।

তিনি আরও জানান, ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বর্তমানে আলোচনা সমালোচনা চলছে। আমরা আশঙ্কা করছি এই সীমান্ত হাট খুলে দিলে ভারত এই হাট ব্যবহার করে বাংলাদেশে অস্ত্র পাঠিয়ে দেশে একটি নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে পারে। তিনি আরও বলেন, দেশে যতগুলো সীমান্ত হাট রয়েছে সব-কটি হাট না খুলতে ওই সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের আবেদন দিবে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পর-ই ভারত-বাংলা বর্ডার হাটটি বন্ধ হয়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, সীমান্ত হাট চালু না করার জন্য জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দগণ একটি আবেদন দিয়েছেন জেলা প্রশাসক বরাবর। আবেদনের একটি কপি আমাকেও দিয়েছে।