তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫ সে:মি নিচে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
উজানের ঢল আর টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তিস্তা নদীর ৪৪ টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আবারো বন্যার আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ০০ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দুপুর ১২ টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কয়েকটি চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে চর ও নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমিসহ চলাচলের সড়ক। ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। বৃষ্টির পানি অব্যাহত থাকলে পানি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এতে ক্রমশই বাড়ছে শঙ্কা ।
ডিমলা ছাতুনামা কেল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সানজিদা আক্তার বলেন,মধ্যে রাতে বাড়ির উঠানে পানি প্রবেশ করেছে।আর একটু পানি বাড়লে ঘরে উঠে যাবে আমাদের রাত জেগে থাকতে হচ্ছে। পানি বাড়লে সবসময়ই বন্যার ভয়ে থাকতে হয়।
ডিমলা খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) চেয়ারম্যান মো.সহিদুজ্জামান সরকার আমাদের প্রতিদিনকে বলেন, বাইশ পুকুর এলাকায় প্রায় ২ শতাধিক বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে । নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। সেইসাথে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে আগাম শীতকালীন শাকসবজি ও আবাদি বিভিন্ন ফসল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বেড়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপ সামলাতে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি গেইট খুলে দেয়া হয়েছে।