ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকবে প্রশাসন: রংপুরের ডিসি
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে গড়ে উঠা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকবে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে তারা যেন আইনিভাবে দ্রুত ন্যায়বিচার পায় সে লক্ষ্যে কাজ করা হবে। তিনি বলেন, জুলাই—আগস্টে গণঅভ্যূত্থানে ছাত্র, দিনমজুর, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ শহীদ হয়েছেন। এর ফলে আজকের নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। আমরা শহীদ পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের সাথে কুশল বিনিময় করছি। শহীদের রক্ত কখনোই বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।
শনিবার সকালে তিনি রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী শহীদ মেরাজুল ইসলামের মা আম্বিয়া বেগমের সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে যান। এ সময় কুশল বিনিয়ম শেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফল উপহার ও নগদ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক মেরাজুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাবিবুর হাসান রুমি, রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাইম হাসান খান, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার রংপুর বিভাগীয় প্রধান সালেকুজ্জামান সালেক প্রমুখ।
এরপর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী জুম্মাপাড়ার আব্দুল্লাহ আল তাহির, পূর্ব শালবন এলাকার সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন, নগরীর গণেশপুর এলাকার স্বর্ণ শ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলন, নগরীর তাজহাট থানার ঘাঘটপাড়া এলাকার অটোচালক মানিক মিয়ার বাড়িতে যান জেলা প্রশাসক। তাদের প্রত্যেক পরিবারকে নগদ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকাসহ শহীদ পরিবারের দায়ের করা মামলাগুলোর ন্যায় বিচার নিশ্চিতে সহযোগিতার আশ^াস দেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা রংপুর মহানগরীসহ জেলায় ১৯ জনের নামের তালিকা ঢাকায় পাঠিয়েছি। আহতদের তালিকা করা হচ্ছে। যেসব আহতরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, কিংবা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তাদের সাথে আমরা যোগাযোগ করবো। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারী নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেগুলো প্রতিপালন করছি।