কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কুড়িগ্রামের ধরলা,দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

অপর দিকে  রংপুর জেলার কাউনিয়া রেল সেতু পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে তিস্তার তীরবর্তী রাজারহাট উপজেলার

ঘড়িয়ালডাঙ্গা,বিদ্যানন্দ,উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া,বজরা,থেতরাই,গুনাইগাছ এবং চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের আংশিক অংশ। এসব ইউনিয়নের চর ও  নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার, গ্রামীন কাঁচা সড়কসহ ১৫৯হেক্টর জমির রোপা আমন এবং মৌসুমী ফসলের ক্ষেত নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ জানায়, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রোববার বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করলেও

আগামীকাল সোমবার থেকে পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান। তিনি আরো জানান, রোববার কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পার্শ্ববর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,তিস্তা নদীর অববাহিকায় ১৫৯ হেক্টর রোপা আমন,শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি পেলে এর পরিমাণ আরও বাড়াতে পারে।