গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে, পানিবন্দী ৪ হাজার পরিবার
নির্মল রায়, গঙ্গাচড়া (রংপুর):
উজানের পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টিপাতে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপচরের প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
তলিয়ে গেছে আগাম শীতকালীন শাকসবজি ও বীজতলাসহ আমন ধান ক্ষেত।
বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে ৫০টিরও অধিক বাড়ি। রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চরবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারতে অতি ভারী বৃষ্টিসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাতে বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় এ পয়েন্টে পানি ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে হু-হু করে পানি ঢুকে পড়েছে উপজেলার তিস্তা নদী বিধৌত সাত ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে।
উপজেলার লহ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আমার ইউনিয়নে এক হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে ভাঙ্গন ঠেকাতে গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। বন্যা স্থায়ী হলে পানিবন্দী পরিবারকে উদ্ধার করে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে হবে। আমি সার্বক্ষনিক নদীরপাড়ের অবস্থার তথ্য প্রশাসনকে জানাচ্ছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, রংপুর বিভাগ ও এর উজান ভারতে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এসেছে। আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিনে তা হ্রাস পেতে পারে।