বিরলের কামদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ
আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর):
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ৮ নং ধর্মপুর ইউনিয়নের কামদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমসের আলী এর বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দাখিলকৃত অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, কামদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) মোঃ সমসের আলী গত ০১ মে/১৯৯৯ খ্রিঃ যোগদান করেন এবং এমপিওভুক্ত হন। তিনি গত ০১ মার্চ/২০০৮খ্রিঃ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আইন অনুযায়ী ১ম টাইম স্কেলে অন্তর্ভূক্ত হোন এবং ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেড প্রাপ্ত হোন। এরপর তিনি গত ০১ নভেম্বর/২০১২খ্রিঃ তারিখে বি.এড স্কেল পেয়ে ৯ম গ্রেডে অন্তর্ভূক্ত হোন। অথচ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিপত্র অনুযায়ী আট (৮) বছরের আগে ৯ম গ্রেডে আসতে পারে না। তাই অনৈতিকভাবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিপত্র ছাড়াই তিনি চার (৪) বছরের ব্যবধানে ৯ম গ্রেডে অন্তর্ভূক্ত হোন এবং বেতন ভাতা উত্তোলন করে যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, সহকারী শিক্ষক সমসের আলী সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছে যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণে সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।
অভিযোগের অনুলিপি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রংপুর অঞ্চলের উপ—পরিচালক, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক, দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং দিনাজপুর জেলার দূর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে শমসের আলী এর নিকট জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না বলে ক্যামেরারসামনে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। আমি বিএড স্কেল প্রাপ্তির জন্য আবেদন করি সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ০১ নভেম্বর/২০১২ খ্রিঃ আমাকে বিএড স্কেল ভূক্ত করা হয়েছে বলে তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হোননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বহ্নি শিখা আশা জানান, উক্ত বিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়েছি এবং ইতিমধ্যে অভিযোগটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করেছি। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।