আওয়ামীলীগ নেতার যোগসাজশে অধ্যক্ষ সুমনের কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য
মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি:
মিঠাপুকুরের বছির উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান সুমন। তাকে ওই কলেজে নিয়োগ দেওয়ার পর বেপরোয়া করে তোলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সদস্য রাশেক রহমান। অধ্যক্ষ সুমনের বিরুদ্ধে সাত পদে নিয়োগ দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন সেসময় নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা। সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্রছাত্রীদের তোপের মুখে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত রয়েছেন সুমন।
ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান রানু ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের যোগসাজশে নিয়োগ পরীক্ষায় পছন্দের প্রার্থীকে পাশ করিয়ে নিয়োগ দেন অধ্যক্ষ। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তৎকালীন মিঠাপুকুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম।
গতকাল (৩০ সেপ্টেম্বর) সোমবার অফিস সহায়ক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত মিটুল মিয়া ভিডিও বক্তব্যে বলেন, বিদ্যুতের গতিতে সুমন প্রন্সিপাল আমার থেকে কলেজের উন্নয়নের নামে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছেন।এবং তৎকালীন কমিটি আলাদা ভাবে ১ লাখ টাকা নিয়েছেন।
ল্যাব সহকারী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত মোনারুল ইসলাম ভিডিও বক্তব্যে বলেন, মিঠাপুকুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার মিয়া পরীক্ষায় যা প্রশ্ন আসবে সে সম্পর্কে ধারণা দেন। নিয়োগ হওয়ার পরে আমার থেকে ১৩ লাখ টাকা নেন।
ঝাড়ুদার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ফয়জুর মিয়া ৪৬ বছর বয়স থেকে ৩৩ বছর করা সহ নিয়োগ দান পর্যন্ত ৬ লাখের বেশি টাকা অধ্যক্ষ সুমনকে দিয়েছন বলে ভিডিও বক্তব্যে স্বীকার করেছেন। একই পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে হরিজন সম্প্রদায়ের স্থানীয় দিলীপের থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন অধ্যক্ষ।
ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ওমর ফারুক অমিত বলেন,অধ্যক্ষ সুমন সাতটি নিয়োগে কোটি টাকা আত্মসাৎ ছাড়াও ফরম ফিলাপের ৪ লাখ টাকা,প্রাচীর নির্মাণ বাবদ ৫ লাখ টাকা,দুই মেয়াদে মাটি ভরাট বাবদ ৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, দূর্নীতিতে জড়িতদের দ্রত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।