স্ত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সেনা সদস্য কারাগারে

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে স্ত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় এক সেনা সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (রৌমারী) হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে আদালতের বিচারক মো. রাকিবুল হাসান তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদির আইনজীবী মো. নাজমুল ইসলাম।
ওই সেনা সদস্যের নাম মোস্তাফিজুর রহমান মিঠুন। তিনি বর্তমানে সৈনিক/৪৫২৮৫২৯, ২৮ বীর বান্দরবান রুমা সেনানিবাসে কর্মরত আছেন। তাঁর স্ত্রীর নাম শিরিনা খাতুন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শিরিনার নিজ ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, ২০১৯ সালে ১৮ ডিসেম্বর রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ছাটকড়াইবাড়ী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শিরিনা খাতুনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের উজান ঝগড়ারচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সেনা সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মিঠুনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে ৭ লাখ টাকা দেনমোহর বেঁধে তাদের বিয়ে হয়।
এদিকে বিয়ের তথ্য গোপন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরি পান মোস্তাফিজুর রহমান মিঠুন। চাকুরি পাওয়ার পর থেকে শিরিনাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ না করে এবং বিয়ে অস্বীকার করে তাঁকে উপক্ষো করে চলেন ওই সেনা সদস্য। এতে স্ত্রী শিরিনার অস্বাভাবি চলাফেরা, মানসিক বির্পযস্ততায় পড়ে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর নিজ শয়ন ঘরের ধর্নার সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় ওই দিনই স্ত্রী শিরিনা খাতুনকে আত্মহত্যার প্ররোচনার দেয়ার অভিযোগে স্বামী সেনা সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মিঠুনসহ ৭জনের বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা সিরাজুল ইসলাম। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরিবারের অভিযোগ ওই সেনা সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মিঠুনের প্ররোচনায় শিরিনা আত্মহত্যা করেছেন।