২৬ কার্তিক, ১৪৩১ - ১০ নভেম্বর, ২০২৪ - 10 November, 2024

গঙ্গাচড়ায় সংবাদ সম্মেলন: হয়রানীমূলক কর্মকান্ড থেকে মুক্তি কামনা

আমাদের প্রতিদিন
1 month ago
82


গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ

বিগত সরকারের দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহারকারী কতিপয় নেতার হয়রানীমূলক কর্মকান্ড থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গঙ্গাচড়া ডাকবাংলো এলাকার ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি নুর ইসলাম ওরফে নুরু (৫৮)।

গঙ্গাচড়ার প্রেক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত রমজান মাস (২৭ মার্চ) রাতে থানা পুলিশসহ ভুটকা গ্রামের শফিকুল, রফিকুলসহ ১৫-২০ জন লোক আমাকে ধরে থানায় আনে। সেখানে আমার ছেলে মামুন ও ভাতিজা আয়নালকে থানার হাজতে দেখতে পাই। আমাকে ওসির রুমে নিয়ে বলে, তোমার ছেলে ও ভাতিজা ভুটকা গ্রামের শফিকুল ইসলামের একটি পাম্প চুরি করে তোমার বাড়ীতে রেখেছে। সেটি ফেরৎ না দিলে তোমাকেও চুরি মামলায় জেলে যেতে হবে। তখন আমি বলি যে, আমি ও আমার ছেলে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি। গত ৯/১০ দিন আগে ভুটকা গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে হৃদয় (১৯) মিশুকযোগে একটি নষ্ট পাম্প ভাল করতে আমার বাড়ীতে এনেছিল। আমি দেখার পর সেই পাম্প এখানে ভাল হবে না মর্মে জানালে হৃদয় তখনই তা নিয়ে চলে যায়। এর পরও তারা আমাকে জোরপূর্বক পাম্প দিতে বলেন। এক পর্যায়ে তারা আমার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকার একটি চেক নিয়ে আমাকে ও আমার ছেলে-ভাতিজাকে ছেড়ে দেন এবং বলেন যে, দ্রুত পাম্প ফেরৎ দিয়ে চেক নিয়ে যাবেন। এ বিষয়ে পরে আমি গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন পরিষদে বিচারপ্রার্থী হলে সেখানেও  সুবিচার পাই নি।

পরে রংপুর জজ কোর্টের জনৈক আইনজীবি আমাকে উকিল নোটিশ পাঠান। তাতে লেখা রয়েছে আমি ৫ মাসের জন্য উক্ত শফিকুলের কাছে দেড় লাখ টাকা ধার নিয়েছি। তা পরিশোধ না করলে আমার বিরূদ্ধে মামলা দায়ের করবে। সম্মেলনে হৃদয় কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক স্বীকারোক্তি পত্র দেয়া হয়। ওই পত্রে লেখা রয়েছে, ১৭ মার্চ রাতে জনৈক ইসমাইল ও আয়নালসহ হৃদয় ওই পাম্পটি চুরি করে একটি মিশুকযোগে তা খোলার জন্য নুরুর বাড়ীতে নিয়ে আসে। সেখানে তা খুলতে ব্যর্থ হলে তখনি পাম্পটি নিয়ে হৃদয় চলে যায়।

সম্মেলনে নুরু প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দাবী করে তাকে ও তার ছেলেকে চুরির অপবাদ থেকে রেহাইসহ প্রদত্ত চেকটি ফেরৎ পেতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth