পীরগঞ্জে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে মাল্টার গাছ কেটে সাবাড়

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগঞ্জ ১৪৪ ধারা অমান্য করে বাগানের শতাধিক মাল্টা গাছ কর্তন। থানায় অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামে।
জানাযায় উক্ত গ্রামের মৃত হবিবার রহমানের ছেলে আতিয়ার ও মশিউর রহমান ২০১৮ সালে একই মৌজার ৯৪৩ দাগে ৩৫ শতাংশ জমি বিক্রি করে আজমপুর গ্রামের শ্রী রাম কৈলাস চন্দ্রের দুই ছেলে শ্রী শ্যামল চন্দ্র ও রবিনচন্দ্র এর কাছে। জমি দলিলের পর দখল নিয়ে ফলের বাগান গড়ে তোলেন তারা। অপর দিকে হবিবার রহমানের কন্যা শরিফা বেগম তার নিজনামের জমি দাবি করে জোরপূর্বক ভাবে শতাধিক ফলসহ মাল্টার গাছ কেটে বাড়িতে নিয়ে যায়।
সরেজমিনে বিষয়টি নিয়ে কথা হয় শ্রী রাম কৈলাস এর সাথে তিনি বলেন, আমার দুই ছেলের কাছে একই দাগে মৃত হবিবার রহমানের দুই ছেলে আতিয়ার রহমান এবং মশিউর রহমান জমি বিক্রি করে দিক উল্লেখ করে। আমরা অই জমিতে মাল্টা এবং লেবুর বাগান তৈরি করি। বাগানের প্রতিটি গাছে প্রচুর ফল ধরেছে, সেই গাছ শরিফা ও তার স্বামী মাহাবুব রহমান আমার বাড়ির সিসি ক্যামেরার লাইনের তার কেটে দিয়ে বাগানের গাছ কেটে সাবাড় করে। শরিফা বেগমের দলিলের জমি আমাদের জমির পাশে রয়েছে এবং সেই জমিতে ঘাসের চাষ রয়েছে।
শরিফা বেগম ও তার স্বামী মাহবুব রহমান গাছ কাটার বিষয়টি শিকার করে বলেন, বাবা আমার নামে দলিল করে দিয়েছে ১৯ শতক জমি। সেই হিসাবে আমরা আমাদের বাগানের গাছ কর্তন করি। আমরা কেন মানুষের জমির গাছ কর্তন করবো। আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ট নিয়ে রবীনচন্দ্র স্থানীয়ভাবে বসে মিমাংসা করার কথা বলে আসছে কিন্তু তারা বসছেনা যে কারনে আমরা গাছগুলো কেটে বাড়িতে নিয়ে এসেছি বলে মাহবুব রহমান জানান।
কাবিলপুর ইউপির বিট অফিসার এসআই মমতাছের হাসান মাসুম জানান, উক্ত জমির বিষয়ে রবীনচন্দ্র আদালতে মামলা দিয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালত জমিটির উপর ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন উভয়কেই নির্দেশ দিয়েছে।
হঠাৎ করে বিবাদীগংরা ফলের বাগান কেটে সাবাড় করে। এবিষয়ে আরেকটি মামলা হবে বলে তিনি জানান।