ঘোড়াঘাটে অটোরিকশা ও সিএনজির দখলে মহাসড়ক
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুর ঘোড়াঘাটে বিভিন্ন হাট বাজারের স্থানীয় সড়ক সহ আঞ্চলিক মহাসড়ক গুলোতে সিএনজি, অটোরিকশা ও ভ্যানের দখলে থাকায় পথচারী ও ভারী যানবাহন চলাফেরার ভোগান্তি সহ বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়কের উপরে অঘোষিত স্ট্যান্ড স্থাপন করে যাত্রী উঠা নামার কারণে যানজট লেগে থাকে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক গুলোতে। ব্যস্ততম সড়কগুলোর বেশিরভাগই এখন তাদের দখলে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দিনাজপুর-গোবিন্দঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘোড়াঘাট উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্ট্যান্ড বসিয়ে চলছে তাদের রাজত্ব। উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার, ওসমানপুর বাজার, গাইবান্ধা মোড় সহ বিভিন্ন বাজারে অনেক জায়গা জুড়ে সড়কের দুপাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় শত শত ইজিবাইক, অটোরিকশা, ভ্যান ও সিএনজি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন ইজিবাইক চালক বলেন, এসব স্ট্যান্ডে নতুন গাড়ি চালাতে সমিতির নামে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। এছাড়া টোল আদায়ের নামে এসব যানবাহন প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা দিলে স্ট্যান্ডে গাড়ি রেখে যাত্রী উঠাতে পারেন চালকরা। এই যাত্রী উঠাতে গিয়েই সড়ক স্ট্যান্ডে রূপ নেওয়া সহ সড়ক সংকুচিত হয়ে দিনভর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যানজট সৃষ্টি হয়ে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, ব্যস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর থেকে অবৈধ স্ট্যান্ড সরানোর উদ্যোগ নেয় না কেউ। রাস্তা বড় হয়েছে ঠিকই তবে সুবিধা ভোগ করতে পারছে না পথচারী ও ছোট-বড় যানবাহন। এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ গাড়ি চলাচল করে। ইজিবাইক, অটোরিকশা ও সিএনজির অবৈধ স্ট্যান্ড ও এলোপাতাড়ি চলাচল এবং যাত্রী উঠানামার কারণে পথচারী ও ভারী যানবাহনের দুর্ভোগ এখন নিত্যদিনের চিত্র।
এ বিষয়ে কথা হলে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কের ওপর সিএনজি, অটেরিকশা ও ভ্যান দাঁড় করিয়ে রেখে চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য নয়। গাড়ি চালকদের একাধিকবার সচেতন করা হলেও তারা খেয়াল খুশি মতো এটা করেই যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীঘ্রই সচেতনতামূলক প্রতারণার ব্যবস্থা করা হবে। আর টোল আদায়ের নামে পৌর এলাকা ব্যতীত চাঁদা প্রদানে সবাইকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ চাঁদা দাবি করে আমাদেরকে অবগত করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।