২৯ কার্তিক, ১৪৩১ - ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ - 13 November, 2024

রৌমারীতে ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি বিলীন হচ্ছে

আমাদের প্রতিদিন
3 weeks ago
72


ব্রহ্মপুত্র নদ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের করাল গ্রাসে চোখের সামনে মাথাগোঁজার একমাত্র ঠাঁইসহ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এভাবে দিনের পর দিন পাল্টে যাচ্ছে এই জনপদের মানচিত্র। বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের চরসোনাপুর পশ্চিম পাড়া গ্রাম, ঘুঘুমারী গ্রাম, গেন্দার আলগাসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র।

গত এক মাসে উপজেলার চরসোনাপুর পশ্চিম পাড়া এলাকায় প্রায় ৩০টির বেশি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। ইতিপূর্বে এক বছরে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েকশঘরবাড়ি। ছাড়া মসজিদ, আবাদি জমি, গাছপালা বিলীন হয়েছে। এদিকে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে চরশৌলমারী হাট-বাজার, সোনাপুর হাট-বাজার, ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি কলেজ ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বসতভিটা। ভাঙনের শিকার হয়ে মাথাগোঁজার ঠাঁই হারানো পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের জমিতে।

চরসোনাপুর এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, গেল এক সপ্তাহজুড়ে ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙন বেড়েই চলছে। ভাঙনের কারণে নদীর তীরবর্তী এলাকার বসতভিটা, আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

কান্নাজড়িত কন্ঠে ভাঙনের শিকার শুকুর জান বেওয়া বলেন, গত দিন হলো ভিটেমাটি হারিয়েছি। অন্যের যায়গায় ওইটাইছি (আশ্রয় নিয়েছি) এখন আর আমাগো কিছুই নেই। কয়েকদিন আগে সবছিল এখন নাই। শুধু আমাগো থাকার ব্যবস্থা করে দেন বলেন জানান।

ভাঙনের কথা জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করে সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা উপজেলা প্রশাসনের কাছে একাধিকবার আবেদন নিবেদন করেও ভাঙন বন্ধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। এদিকে ভিটেমাটি হারানো দরিদ্র মানুষের কান্নায় পরিবেশ ভারি হচ্ছে। আমরা কোনো ত্রাণ চাই না, নদীভাঙন সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।

চরশৌলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুর রহমান দুলাল বলেন, ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। এসব মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ভাঙনে নিঃস্ব হওয়া পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তুত করে উপজেলা প্রশাসন বরাবর পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ভাঙন রোধে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। যাতে দ্রæ ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা যায়।

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth