২৯ কার্তিক, ১৪৩১ - ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ - 13 November, 2024

তিস্তার চরাঞ্চলে কৃষিপণ্য পরিবহনে এখনও ভরষা মহিষের গাড়ি

আমাদের প্রতিদিন
3 weeks ago
145


নির্মল রায়,গঙ্গাচড়া (রংপুর):

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার চরাঞ্চলে কৃষিপণ্য পরিবহনে এখনও ভরষা মহিষের গাড়ি।

কালের বিবর্তনে এই পরিবহনটির রূপ বদলালেও এখনও তার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। তিস্তার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে উঁচু-নিচু-আঁকা-বাঁকা বালুময় পথে কৃষিপণ্য গন্তব্যে পৌঁছাতে চরাঞ্চলের কৃষকদের ভরষা মহিষের গাড়ি।

তিস্তার চরাঞ্চলে সড়ক গুলো সব সময়ই উঁচু-নিচু বালুময় নির্দিষ্ট কোনো সড়ক নেই এসব চরে। বিভিন্ন সময়ে সুবিধাজনক সড়ক বেছে নেন চরের মানুষ। এসব সড়কে মাইলের পর মাইল হেঁটে যাতায়াত করেন তারা। তবে কৃষিপণ্য পরিবহনে বেশিরভাগ সময় মহিষের গাড়িই ভরসা চরাঞ্চলের মানুষের।

এছাড়া জমি চাষ করা ট্রাক্টর এর সাথে ট্রলি সংযোগ করেও মালামাল পরিবহন করতে দেখা যায়।

তিস্তার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে সরেজমিনে গেলে মহিষের গাড়ির এমন অনেক দৃশ্যই দেখা যায়।

নদীর তীর থেকে খাড়া ঢাল বেয়ে মহিষের গাড়ি পাকা সড়কে উঠছে এরপর ছুটে চলছে

গন্তব্যে।

এসব গাড়ি  উঁচু, নিচু, বালুময়, কিংবা ছোটবড় গর্তযুক্ত সব পথ অনায়াসেই পাড়ি দিতে পারে। পণ্য পরিবহনে দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চরবাসীর অন্যতম যান হিসেবে চলছে মহিষের গাড়ি।

আবুল কালাম (৩৫) নামে মহিষের গাড়ির চালক বলেন, আমরা চরের কৃষক। অনেক আগে থেকেই মহিষের গাড়ি চালাই। আবাদের কাজের ফাঁকে মহিষের গাড়ি চালাই।

উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের চর চল্লিশ সাল এলাকার কৃষক আমজাদ, ছাইদারসহ

অনেকেই জানান, শুষ্ক মৌসুমে নদীতে বেশিরভাগ জায়গায় চর পড়ে আবাদী জমির পরিমান বেড়েছে। বাড়ি থেকে কয়েক মাইল দূরে তাদের কৃষি জমি। এসব জমির ফসল ঘরে তুলতে মহিষের গাড়ি ছাড়া সম্ভব নয়। আবার মহিষের গাড়ি না পেলে মাথায় বা কাঁধে বোঝা নিয়ে আসতে হয়।

লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হাদী বলেন, নদী তীরবর্তী বালুময় সড়ক গুলোতে কৃষি  পণ্য পরিবহনের জন্য এখনও মহিষের গাড়ি ব্যবহার করছে চরাঞ্চলের কৃষকরা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth