কিশোরগঞ্জে হঠাৎ বেড়ে গেল বীজ আলুর দাম বিপাকে কৃষক
কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
আগাম আলু চাষের ভান্ডার খ্যাত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় হঠাৎ ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুন বেড়ে গেছে বীজ আলুর দাম। দ্বিগুন দামে বীজ ক্রয় করে আগাম আলু চাষাবাদ করতে মধ্যবিত্ত কৃষকদের নাভিষাশ উঠেছে। এতে করে পিছিয়ে পড়ছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিসহ মৌসুমি চাষিরা। ফলে আগাম আলু চাষাবাদের লক্ষমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশংকা করছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়- এবারে এ উপজেলায় আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমি।সে অনুযায়ী ৯ হাজার টন বীজ আলু প্রয়োজন।কিন্তু কিশোরগঞ্জ মুক্তা হিমাগার-২ সহ জলঢাকা মুক্তা হিমাগার-১, তারাগঞ্জ সিনহা, এনএন, রংপুরের চৌধুরী হিমাগারে পর্যাপ্ত আগাম ও নাভি জাতের আলু বীজ সংরক্ষন আছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষকরা আলু চাষে ব্যাস্ত সময় পাড় করছেন। কিন্তু অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক আলু চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করলেও বীজের দাম অস্বাভাবিক হওয়ার কারনে এখন জমিতে আলু চাষ করতে পারছে না।যে সব কৃষক আগে আলুর বীজ কিনে রেখে ছিল তারাই ইতিমধ্যে জমিতে আলু বীজ লাগানো শেষ করেছেন। কিন্তু ৪০-৪৫ টাকা কেজির বীজ আলু ১৫ দিনের ব্যবধানে ৬৫-৭০টাকা কেজি বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা পড়েছেন বিপাকে।
পুটিমারীর ইউনিয়নের কেশবা গ্রামের কৃষক জামিয়ার রহমান জানান- কয়েকদিন আগে বাজারে বীজ আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে। এ জন্য আলুর চাষ করার জন্য দুই বিঘা জমি প্রস্তুত করে রেখে ছিলাম। কিন্তু অস্বাভাবিক ভাবে আলু বীজের দাম বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা হওয়ায় আমি এখনো আলুর বীজ কিনতে পারি নাই।
বীজ ব্যাবসায়ী জিল্লুর মিয়া জানান, কয়েকদিন আগে আলু বীজ বিক্রি করেছি ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু হঠাৎ করে প্রতি কেজি আলুর বীজে ২০-২৫ টাকা বেড়ে যাওয়ায় এখন প্রতি কেজি আলুর বীজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে। হঠাৎ কেজিতে ২০-২৫ টাকা দাম বাড়ল কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন- বড় বড় বীজ ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় বীজ বিক্রি না করায় বীজের সরবারাহ কমেছে, তাই বীজের দাম বেড়েছে। এখানে আমাদের ছোট ব্যবসায়ীদের কিছু করার নাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম জানান- কিশোরগঞ্জের কৃষকরা মুক্তা হিমাগার, রংপুরের সিনহা, এনএন,চৌধুরী, জলঢকা মুক্তা হিমাগার সহ বিভিন্ন হিমাগারে আলু সংরক্ষন করে থাকে এখানে কোন সংকট নেই। এটা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।