বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আ.লীগ নেতা হত্যা অজ্ঞাতনামা ৪/৫‘শ বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন রায় হারা হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী কনিকা রানী বাদী হয়ে ছাত্র জনতার নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ বিক্ষুব্ধ ছাত্র- জনতাকে আসামী করা হয়েছে। শনিবার (১৯অক্টোবর) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের সমন্বয়ক ইমরান হোসেন একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফেসবুক পোস্টে ইমরান আহমেদ জানান, যে পুলিশ সাধারণ মানুষের মামলা নেয়না। সেই পুলিশ অস্ত্র হাতে হত্যাকারী হারাধনের মামলা নেয় কিভাবে? এটাতো দুঃসাহস! পুলিশের রিফর্ম জরুরী।
দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, দেশব্যাপী চলমান নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গত ৪ আগস্ট সকাল ১০টার সময় হারাধন রায় হারা নগরীর ৪ নং ওয়ার্ড জলছত্র চৌধুরী পাড়া এলাকার মোকছেদ আলীর পুত্র মৃত ফাত্তা সবুজসহ আওয়ামী লীগের মিছিলে যোগদান করে। সেসময় অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ বিক্ষুব্ধ জনতা হারাধন রায় হারা ও ফাত্তাহ সবুজকে নগরীর বেতপট্টি চারমাথা মোড়ে পেয়ে লাঠি, সোঠা, লোহার রড, চাকু, দেশীয় অস্ত্র দ্বারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি পিঠিয়ে ও কুপিয়ে কাটা জখম করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। একই দিন বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩ টার সময় অজ্ঞাতনামা বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের মৃতদেহের গলায় ডিসের তার পেচিয়ে ছেচরিয়ে রংপুর সিটি করর্পোরেশনের সামনে ওভার ব্রীজের নিচে নিয়ে এসে পাকা রাস্তার উপর ফেলে রাখে। পরবর্তীতে রংপুর সিটি করর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নেতৃত্বে হারাধন রায় হারা ও ফাত্তাহ সবুজের লাশ উদ্ধারপূর্বক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিটি কমিশনার হারাধন রায় হারা হত্যার ঘটনায় ছাত্র-জনতার নামে মামলার ঘটনায় সমন্বয়ক মাসুদ রানা জানান, সরকারতো ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ের কোন ঘটনার জন্য ছাত্র জনতার নামে মামলা হবে না। তারপরও ছাত্র-জনতার মিছিলে প্রকাশ্য অস্ত্র হাতে নিয়ে গুলি করা চিহ্নিত সন্ত্রাসী হারা নিহতের ঘটনায় কেনো এই মামলা দায়ের করা হলো? পুলিশ এতো সাহস কিভাবে পেলো? আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, হারাধন রায় হত্যার ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে কোতয়ালী থানায়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদ্বয়কে আসামি করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে।