বসতঘরে ভেসে উঠেছে কবর
কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের কাউনিয়ায় বসতবাড়ীর ঘরের মেঝেতে একটি কবর ভেসে উঠেছে। অলৌকিক ভেসে উঠা কবরটি দেখতে আসা অনেকেই মনের কামনা-বাসনা পুরণে কেউবা কবরে দান করেছে টাকা, অনেকেই রোগ বালাই থেকে আরোগ্য লাভে কথিত কবরে পাশে প্লাস্টিকের ড্রামে রাখা পানি নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ীতে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের চর পল্লীমারী (চর একতা বাজার) গ্রামে কৃষক মতিয়ার রহমানের বাড়ীতে। এ খবর ছড়িয়ে পরলে গতকাল (২০ অক্টোবর)রোববার সন্ধা থেকে কবরটি দেখতে সেখানে বিভিন্ন গ্রামের উৎসুক শত শত নারী পুরুষরা আসছে।
আজ (২১ অক্টোবর) সোমবার দুপুরে চর পল্লীমারী (চর একতা বাজার) গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মতিয়ার রহমানের বাড়ীতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত—শত নারী পুরুষেরা কবটি দেখতে ভিড় করছে। কবরের পাশে রাখা হয়েছে প্লাস্টিকের ড্রাম পানি। নাজিরদহ গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, ঘরের কোণায় মাটির একটি অংশ উচুঁ দেখা গেছে। বাড়ীর লোকজন বলছে ওইখানে নাকি কবর রয়েছে। কতটুক সত্য আল্লাহ ভালো জানেন। পল্লীমারী গ্রামের শফিকুল বলেন, কবরটি দেখতে আসা অনেকেই সেখানে টাকা দান করছে, পানিও নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ী। ওই বাড়ীর লোকজন বলছে, পানি খেলে নাকি রোগ ভালো হবে।
বাড়ীর মালিক মতিয়ার রহমান বলেন, তিনি গতকাল রবিবার দুপুুরে বাড়ীতে এসে স্ত্রীর কাছে জানতে পারেন ঘরের কোণায় অলৌকিকভাবে কবরের মতো মাটি উচুঁ হয়েছে। সেখানে আগরবাতি ও গোলাপজল দেখতে পান তিনি।
মতিয়ারের স্ত্রী ছাবিনা বেমন বলেন, তিনি গত কয়েকদিন ধরে স্বপ্নে জানতে পারেন ঘরের মেঝেতে এক শিশুর কবর রয়েছে। কবরটিকে মাজার করার জন্য স্বপ্নে তাকে বলা হয়েছে। রবিবার দুপুুরে তিনি অসুস্থ হয়ে পরেন। এরপর ঘরের কোণায় খাটের নিচে মাটি উচুঁ কবর দেখতে পান তিনি। ছাবিনা বেগম বলেন, স্বপ্নে জানতে পেরেছি কবরটি মাজারে রুপান্তরিত করতে হবে এবং দানের টাকা মসজিদ মাদ্রাসায় ও মাজারে খরচ করতে হবে। এছাড়া পানি খেলে সব রোগ ভালো হবে।
এদিকে হারাগাছ আল বায়তুল মোয়াজ্জেম মসজিদের খতিব ইদরিস বিন শাহ জামাল বলেন, কবর ভেসে উঠতে পারে। তবে ওই মহিলাকে শয়তান স্বপ্ন দেখাতে পারে। আর কবরে কোন কিছু দান করা বা কিছু চাওয়া ইসলামে সম্পুর্ন নিষিদ্ধ।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এস.এম শরিফ বলেন, স্থানীয় এক কৃষকের বসতঘরে কবর ভেসে উঠার খবর তিনি জানতে পেরেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।