১ আষাঢ়, ১৪৩২ - ১৬ জুন, ২০২৫ - 16 June, 2025

গঙ্গাচড়ায় ভুল কীটনাশকে কপাল পুড়ল কৃষকের

আমাদের প্রতিদিন
7 months ago
206


নির্মল রায় গঙ্গাচড়া (রংপুর):

ধান গাছে পোকামাকড় দমন ও উচ্চ ফলনশীলের আশায় অনেকেই কষ্ট করে হলেও রাসায়নিক কীটনাশক স্প্রে করে থাকেন। ভুলবশত কীটনাশকের পরিবর্তে যদি আগাছানাশক ব্যবহার করেন তাহলে তো মহাবিপদ। তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার উত্তর কোলকোন্দ  গ্রামের মৃত নছিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রশীদ  ও মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে আলম মিয়ার ধান খেতে। ভুল কীটনাশক প্রয়োগ করে তাদের প্রায় দেড় একর জমির ধান পুড়ে গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় আব্দুর রশীদ তার মেয়ের জামাতা মারফৎ গঙ্গাচড়ার একটি দোকান থেকে কীটনাশক ক্রয় করে। গত শনিবার জমিতে কীটনাশক ছিটানোর আগে সেগুলো গুলিয়ে নেয়। এসময় আব্দুর রশীদের স্ত্রী বাড়িতে অনেক আগে থেকে থাকা একটি আগাছানাশক ঔষধের অবশিষ্ট বোতল দেখিয়ে বলে, এই ঔষধ গুলো অনেক দিন থেকে বাড়িতে পড়ে আছে এগুলোও দিয়ে দেন। আব্দুর রশীদ কীটনাশক ভেবে আগাছানাশক ঔষধ ঐ কীটনাশকের সাথে মিশিয়ে দেয়। এরপর স্থানীয় দিনমজুর কিবরিয়াকে তার ১ একর ৩০ শতক জমিতে কীটনাশকগুলো ছিটাতে বলে। কিবরিয়া রশীদের জমিসহ পাশে থাকা আলমের ২০ শতক জমিতেও রশীদের জমি মনে করে একই কীটনাশক ছিটায়। দিন যত যাচ্ছে ততই পুড়ে যাচ্ছে ধান গাছ। ধান খেত পুড়তে দেখে লোকজন গিয়ে রশীদকে খবর দিলে দেখে সে অন্য কীটনাশকের সাথে আগাছানাশক ও ছিটিয়েছেন।

আব্দুর রশীদের বড় ছেলে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার বাবা বুঝতে পারেননি যে ওটা ঘাস মারা (আগাছানাশক) ঔষধ ছিল। আমাদের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।

কৃষক আলম বলেন, কয়েক বছর হলো রশীদ চাচার কাছ থেকে জমিটুকু কিনে নিয়ে চাষাবাদ করে আসছি। কিন্তু কিবরিয়া হয়তোবা সেটা জানতো না, রশীদ চাচার উচিৎ ছিল সেটা কিবরিয়াকে বলা। এখন আমার যে ক্ষতি হলো এটা কে পূরন করবে?

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন বিষয়টি শুনেছি, ঘটনানাটি দুঃখজনক। ধান গাছের পাতায় বেশি বেশি করে পানি ছিটাতে হবে যাতে বিষক্রিয়াটা নষ্ট হয়ে যায়।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth