গঙ্গাচড়ায় সবজির মূল্যে আগুন, বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ
নির্মল রায়,গঙ্গাচড়া (রংপুর):
রংপুরের গঙ্গাচড়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে সবজির মূল্যে আগুন লেগেছে। এতে চরম বিপাকে পড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে স্বল্প আয়ের মানুষের। বাজারে ঢুকলে দেখা মিলবে হরেক রকমের সবজি। কিন্তু পছন্দের সবজির মূল্যে আগুনের তাপ থাকায় সেই তাপ এখন উপজেলার হাজার হাজার কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, শ্রমজীবী পরিবারের শাশাপাশি চাকরিজীবী ও মধ্যবিত্ত পরিবারেও লেগেছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় সব শ্রেণী-পেশার মানুষই যেন অসহায় অবস্থায় পড়েছে। আর সবজির বাজারে ঢুকলে সকলকে যেন চাঁপা কান্না করতে হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার গঙ্গাচড়া বাজার, বেতগাড়ী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবজি বিক্রেতারা পাতা কপি ৭০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৯০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, আলু ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা,রসুন ২৪০, পিঁয়াজ ১১০, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা,লেবুর হালি ২০ টাকা, ডিমের হালি ৫০ টাকা, লাউ প্রতিপিস প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি করছে।
সবজির মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে একাধিক সবজি বিক্রেতার দাবি, টানা ১ মাসের বৃষ্টিতে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই সবজি সংকটের সৃষ্টি হওয়ায় হু হু করে দাম বাড়ছে। এখানে তাদের কিছু করার নেই।
ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ডিম ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে।
এছাড়া মাছের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির ফলে বেশকিছু অঞ্চলে চাষিদের মাছ ভেসে গেছে। ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম কিছুটা বেড়ে গেছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। গত পাঁচ দিনে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অভিযান চালিয়ে ১৪ জন ব্যবসায়ীর ২২,৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে অভিযান অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি উপজেলা কৃষি ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকেও বাজার মনিটরিং করার আহ্বান জানান।