নিজস্ব প্রতিবেদক:

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রংপুরে সারজিস আলম বলেছেন, ‘পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে..’ তিনি জাতীয় পার্টির নাম উল্লেখ না করে তাদের প্রতি ঈঙ্গিত করে এ কথা বলেন।

সন্ধ্যায় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা স্মারক মঞ্চে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আত্র আন্দোলনের রাষ্ট্র পূনর্গঠনে তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্যে সারজিস আলম বলেন।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের ষোল বছরে যারা দোষর ছিল তারা তাদের আম্মারা যখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় তখন তাদের ডালপালারা লাফায়। এই চব্বিশের অভ্যুত্থানের অগ্রজ রংপুরের ফ্যাসিসদের বিন্দুমাত্র ভয় পায় না। আমাদের ফ্যসিসদের এসব ডালপালাদের নাম নিয়ে তাদের কি তাদের পত্তা দেয়ার কোন প্রয়োজন আছে। তাদের নাম কেন মিডিয়ায় আনব। এই রংপুর জেলা, বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়, সরকারি রংপুর কলেজ, কারমাইকেল কলেজ, গার্লস স্কুল, জেলা স্কুল শিক্ষার্থীদের বিচারন ভূমি অভয়ারন্য তারা দু’একটি ফ্যাসিসদের দালালদের কি ভয় পায়।

আমরা যদি নিজেরা ছোট-খাটো স্বার্থ নিয়ে বিভক্ত না হই তা হলে ৪/৫ তারিখে মত যদি আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবার নামতে পারি এই ফ্যাসিসদেও ডালপালা কেন ফ্যাসিসদের মায়ের মায়েরাও নামতে পারবে না। একটি জিনিস মনে রাখতে হবে এরা গর্ত থেকে বেড় হওয়ার চেষ্টা করবে। এরা তারা জানেনা তাদের যদি বিষ দাত থাকে শত বিষ উপড়ে ফেলার মত আমাদের সাহস আছে।  

সারজিস আলম বলেন, যারা শেখ হাসিনা সরকারকে পার্লামেন্টে বৈধতা দিয়েছে। তারা প্রত্যেকে একেকজন ওই ফ্যাসিস্টের দোসর। জাতীয় পার্টি যদি সংসদে আওয়ামীলীগকে বৈধতা না দিতো তাহলে আওয়ামীলীগ ন্যুনতম কোন বৈধতা পেতো না। সুবিধাবাদরা নিজেদেও সুবিধার জন্য, গাড়ি বাড়ির জন্য সিন্ডিকেট করার জন্য, চাঁদাবাজি করার জন্য। খুনি শেখ হাসিনাকে বিগম ১৬ বছরের তিনটি নির্বাচনে পার্লামেন্টে বৈধতা দেয়ার জন্য যারাই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কাজ করেছে তারা প্রত্যেকেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার এক একজন দোসর। তাদের এই ভূমিকার জন্য দেশকে আজ এই অবস্থায় আনার জন্য আমার ২ হাজার ভাইবোনকে জীবন দিতে হয়েছে। আমাদের অর্ধলক্ষাধিক ভাইবোন রক্তাক্ত হয়েছে। বে জন্য যারা দায়ী তাদের প্রত্যেকেই বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সারজিস বলেন, ‘এসময় তিনি ফ্যাসিবাদ এবং তাদের দোসরদের যে কোন অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ১ ঘন্টার নোটিশে কেন্দ্র থেকে রংপুর আসবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। রাষ্ট্রপতি সরানোর ইস্যুতে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার কারণে হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অন্যান্যরা রংপুর আসতে পারেন নি বলে উল্লেখ করেন সারজিস। বলেন, উন্নয়নের কথা বলে বিগত সরকার রংপুরের সাথে বৈষম্য করেছে।’ এসময় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. শওকাত আলী, ছাত্র উপদেষ্টা ইলিয়াস প্রামানিক, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সামসুর রহমান সুমন বক্তব্য রাখেন।

এর পরে সারজিস আলমের নেতৃত্বে ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রধান গেট হয়ে চকবাজার এলাকা ঘুরে শেষে আবারও বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়।