২৬ কার্তিক, ১৪৩১ - ১১ নভেম্বর, ২০২৪ - 11 November, 2024

রংপুরে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেস্টার অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রীর

আমাদের প্রতিদিন
2 weeks ago
71


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ চেস্টাসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেনে মোছাঃ আসমা আক্তার পলাশ নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। তিনি এসময়  মামলা করতে গেলেও  পুলিশের বিরুদ্ধে না নেয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। আজ (২৭ অক্টোবর) রোববার দুপুরে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন দক্ষিন কোরিয়া প্রাবাসি  তারেক হোসেন রাকিবের স্ত্রী মোছাঃ আসমা আক্তার পলাশ এসময় তার সাথে ছিলেন ১২ বছর একমাত্র সন্তান ।

লিখিত বক্তব্যে আসমা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ ১৬বছর থেকে আমার শাশুড়ীর তহমিনা বেগমের কাছে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত পৌনে তিন শতক জমির ওপর নির্মিত বাড়িতে বসবাস করে আসতেছি। আমার স্বামী তারেক হোসেন রাকিব দীর্ঘ ৫ বছর থেকে জীবিকার প্রয়োজনে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করায় সুবাধে আমার অপর শরিকরা আমাকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে।  এরই ধারাবাহিকতায় মিনারা আঞ্জুমা লীনা, মরিয়ম আঞ্জুমান লাকি, মোতলেব হোসেন বাদল, মেহবুব হোসেন অমি ওরফে হিরো, মোছাঃ মোছাদ্দেকা হোসেন মিতা গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে হাতে লাঠি, ছোরা, বল্লম দিয়ে আমাকে এবং আমার সন্তানের ওপর হামলা করে

বিষয়টি জানিয়ে ১৩ ও ১৪সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় মামলার এজাহার নিয়ে যাই। কিন্তু  ডিউটি অফিসার ওসি নাই বলে আমাকে তিনদিন ফিরিয়ে দেন। বারবার চেস্টা করেও মামলা না নেয়ায় ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করি। আমার মামলার কোন ব্যবস্থা না হতেই মিনারা

গত ৩০ সেপ্টেম্বর  আদালতে আমার এবং আমার ভাইদের নামে মামলা করেন তারা মেডিকেল থেকে মিথ্যা ছাড়পত্র গ্রহন করেন। আমার বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। সেটা দেখলেই এর প্রমাণ মিলনে।

আসমা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ‘আমি এদেশের একজন নাগরিক হওয়ার পরও নিরাপত্তার জন্য থানায় গিয়ে কেনো আইনি সহায়তা পেলাম নাহ ?  আমার অভিযোগ কেনো থানা গ্রহণ  করলো না ? এই ভুয়া ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে কারা সহযোগিতা করলো ? আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে কেনো হয়রানি করা হচ্ছে

সংবাদ সম্মেলনে আসমা বলেন, আমি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সরকারের কাছে আমার ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। আমার উপর হওয়া অন্যায় অবিচারের ঘটনায় শাস্তির দাবি জানাচ্ছি এবং ভুয়া ছাড়পত্র দেয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth