গঙ্গাচড়ায় দলিল লেখকদের স্মারকলিপি প্রদান ও কর্মবিরতি পালন
নির্মল রায়,গঙ্গাচড়া (রংপুর):
রংপুরের গঙ্গাচড়া সাব-রেজিস্টার রিপন চন্দ্র মন্ডলের অপসারণের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দ। আজ (০৪ নভেম্বর) সোমবার দুপুরে আইন উপদেষ্টা বরাবর গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধির নিকট স্মারকলিপি দেন তারা। এছাড়া গত ২৮ অক্টোবর থেকে তারা কলম বিরতি পালন করছেন। এদিকে জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশীরা।
অন্যদিকে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত কলম বিরতি অব্যহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দলিল লেখক সমিতির নেতারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ (০৪ নভেম্বর) সোমবার বেলা ২ টার দিকে গঙ্গাচড়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চলছে
দলিল লেখকদের কর্মবিরতি। সারা দিন এখানে কোনো জমির রেজিস্ট্রি হয়নি। অনেকে জমি দলিল করতে এসে ঘুরে যাচ্ছেন।
জানাযায়, রিপন চন্দ্র মন্ডল সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে জমির কাগজপত্র সঠিক থাকলেও কৃত্রিম উপায়ে কাগজপত্রে ভুল বের করে মোটা অংকের ঘুষ দাবি করেন। এ দাবি জমির বিক্রেতা বা ক্রেতা পূরণ করলে সে দলিল রেজিস্ট্রি করেন। এভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে ঘুষ চাওয়ার কারণে জমি দলিল কমে এসেছে । এতে মানুষজন হচ্ছে হয়রানী। দলিল লেখকরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি প্রদান করা হয় । স্মারকলিপি জমা দেয়ার পর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি চাঁদ সরকার বলেন, আওয়ামী পরিবারের লোক হিসেবে নিজেকে পরিচয়দানকারী ফ্যাসিবাদের দোসর দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর সাব-রেজিস্টার রিপন চন্দ্র মন্ডল প্রত্যেকটা দলিলে কৃত্রিম উপায়ে ভুল বের করে আইনের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন।
তাকে ঘুষ দিলে দলিল হয় আর না দিলে দলিল হয় না। এতে দলিল লেখকরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি প্রদান করা হয় । মূলত তিনি ঘুষ বাণিজ্যের জন্যই এ ত্রুটি বের করেন। আমরা সাব রেজিস্টারের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আর দলিল সম্পাদন কাজ করবো না। তিনি দ্রুত গঙ্গাচড়া উপজেলার দলিল লেখকদের পক্ষ থেকে এ সাব রেজিস্টারকে অপসারণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।