ডিমলায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
মোঃ হাবিবুল হাসান হাবিব: ডিমলা(নীলফামারী) :
নীলফামারীর ডিমলায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। দলীয় কর্মসূচী অনুযায়ী ৭ নভেম্বর সকাল ১১ টায় ডিমলা বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি বর্নাঢ্য র্যালী বের করে। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ডিমলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালে এই দিনে সিপাহী জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান এবং দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে যায়। বিএনপি শাসনামলে এই দিনটি ছিল সরকারী ছুটির দিন কিন্তু আওয়ামীলীগের শাসনামলে বিএনপি এই দিবসটি স্বাচ্ছন্দে উদযাপন করতে পারিনি। তবে গত ৫ই আগষ্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুথানে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। দেশের এই পেক্ষাপটে দীর্ঘদিন পর ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীরা স্বাচ্ছন্দে অংশগ্রহন করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিমলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মনোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম লিটন, সাধারন সম্পাদক বদিউজ্জামান রানা,সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানী প্রধান, ডিমলা বিএনপির সদর ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, বালাপাড়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মো. হামিদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. সবুজ খান সহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ। এছাড়াও উপজেলার দশটি ইউনিয়ন- বালাপাড়া, ডিমলা, খগাখড়িবাড়ী, পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতানাই, গয়াবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, নাউতারা, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী থেকে আগত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও নেতাকর্মীরা ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে উপস্থিত ছিলেন।