চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতার সংকট দেখিয়ে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে আবারো ফেরি চলাচল বন্ধ করেছে ফেরী কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি)। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহি গাড়ির শ্রমিকরা। উপজেলার মাটিকাটা থেকে নৌবন্দর ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে দেখা দিয়েছে তিব্র যানজট।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমে যাওয়ায় রৌমারী ঘাট এলাকায় পানি কম থাকায় ফেরীর নিচের অংশ আটকিয়ে যায়।এ কারনে সাময়িক সময়ের জন্য ফেরী চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ফেরি পারের উদ্দেশ্যে আসা পরিবহনের শ্রমিকরা।

গাড়ির ড্রাইভার ও স্থানীয়রা জানান,চিলমারী-রৌমারী নৌপথে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত দুটি ফেরিতে পণ্যবাহী যানসহ বিভিন্ন পরিবহন পারাপার করে আসছে বিআইডব্লিউটিসি।বর্তমানে ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যাওয়ায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে তা ঠিক। কিন্তু প্রতিদিন আমরা নদীতে যে ড্রেজিং দেখছি তা কি কোন কাজে আসছে? নাকি তারা শুধু লোক দেখানো কাজ করছেন? তারা আরো জানান, দিনে শুধুমাত্র কয়েক ঘন্টা চলে নদী খননের কাজ, বাকি সময় বন্ধ থাকে। এভাবে ড্রেজিং চললে সারাজীবনে ফেরী চলাচলের সমস্যা সমাধান হবে না।

শুক্রবার সরেজমিনে চিলমারী ঘাট থেকে রৌমারী পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, নৌ-রুটের রৌমারী ঘাটের উত্তর পশ্চিমে প্রায় ২কিলোমিটার এলাকায় পানির গভিরতা ৬থেকে ৯ ফিট। বর্তমানে যে রুটে ফেরী চলাচল করছে সেখানে একটি স্থানে প্রায় ৮শ থেকে ১হাজার ফুট জায়গায় ৫/৬ফুট গভিরতা থাকায় ফেরীর নিচের অংশ আটকে যাচ্ছে।ফলে ফেরী চলাচল বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ কামরুজ্জামান জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যাওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।আমরা প্রায় ২হাজার ফিট এলাকায় ড্রেজিং শুরু করেছি। এরই মধ্যে প্রায় ৮শত ফিট কাজ হয়েছে বাকি অংশ ড্রেজিং হলে এই চ্যানেলে সহজে ফেরী চলাচল করতে পারবে। আর এখন যে স্থানে ফেরী আটকাচ্ছে আমরা চেষ্টা করছি ওখানে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে গভিরতা ফিরিয়ে এনে ফেরী চলাচল স্বাভাবিক করতে।

এসময় নৌ-বন্দর ঘাট এলাকায় দেখা গেছে,সড়কে প্রায় শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ির দির্ঘ সারী। এই পথে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৪০টি পণ্যবাহী পরিবহন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে। ফেরি বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে চিলমারী ফেরী সার্ভিস বিআইডব্লিউটিসি‘র ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান জানান, ব্রহ্মপুত্রের নব্যতার সংকট সৃষ্টি হওয়ায় ফেরীর নিচের অংশ বেজে যায়। এ কারনে জাহজের নিরাপত্তার স্বার্থে ড্রেজিং না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক ভাবে ফেরী সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। ড্রেজিং শেষে ফেরী চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।