তরুণরা সমাজ এবং রাষ্ট্রের নেতৃত্ব পর্যায়ে আসুক তরুণদের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ পরিচালিত হোক- পীরগঞ্জে নূর
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ
আবু সাঈদের পরিবারের যে স্পিড, সেটা আমাদের রাজনীতির স্পিড একই, ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই বাংলাদেশের যেন নতুন করে কেউ ফ্যাসিবাদ এবং স্বৈরাচার হয়ে না উঠতে পারে, জনগণ যেন একটা নিপীড়িত নির্যাতিত নিস্পেষিত আবার আওয়ামী লীগের মতো না হয়, সে জন্য আমাদের সকলকে মিলে একটা সহনশীল রাজনীতির পরিবেশ, সামাজিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং এইযে তরুণেরা যে যুগে যুগে কালে কালে যে জীবন দিচ্ছে, আত্মত্যাগ করছে, তাদের আত্মত্যাগের সুফল পরবর্তী সময়ে আমরা লক্ষ্য করছি না। তাই আমরা চাই যে গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী তরুণরা সমাজ এবং রাষ্ট্রের নেতৃত্ব পর্যায়ে আসুক তরুণদের মাধ্যমে আগামীর নতুন বাংলাদেশ পরিচালিত হোক।
শুক্রবার বিকেলে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে কুশলাদি বিনিময়ে পীরগঞ্জের বাবনপুরে আসেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরসহ তার সফরসঙ্গী। জিয়ারতের পর তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তরুণদের যে সুস্থ চিন্তাভাবনা এবং দেশকে নিয়ে তাদের যে ভাবনা সেটার প্রতিফলন ঘটুক, রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজনীতিতে যদি তরুণরা এগিয়ে না আসে তাহলে আবু সাঈদদের আত্মত্যাগ বৃথা হবে। গণধিকার পরিষদ পরিষদ তারুণ্যের রাজনীতিক দল, তরুণদের মাধ্যমেই যারা দেশ গঠন করতে চায় এবং অবহেলিত রংপুর বিশেষ করে আবু সাঈদ এর পরিবার প্রত্যাশা ছিল যে, এ অঞ্চলের আবু সাঈদের নামে যেন কোন একটি প্রতিষ্ঠান করা হয়। যেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ সেবা পাবে কিংবা মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই আবু সাঈদ এর স্মৃতিচারণ
করে রাখার জন্য চিরজাগ্র করে রাখার জন্য সরকার সেই ধরনের পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি গন অধিকার পরিষদ পক্ষ থেকে আমরা আবু সাঈদের স্মৃতিকে উজ্জ্বল করে রাখার জন্য আবু সাঈদের নামটি মানুষের মাঝে যেন জ্বলজ্বল করে থাকে সেজন্য আমরাও একটা কিছু করবো পরিবারের সাথে আলাপ-আলোচনা করে। নূর বলেন, রংপুরে সমাবেশে আমরা এসেছি, রংপুরের সমাবেশে আসার পূর্বে আমরা ২৪ এর যে গণঅভ্যুত্থান এই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম বীর আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছি তার পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি, আপনারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণধিকার পরিষদের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, ১৮ সালের কোটা আন্দোলনের আহবায়ক হাসান আল মামুন প্রমুখ।