১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ - ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ - 03 December, 2024

মৌসুমি রোগের প্রভাব বাড়ছে শিশু ও বয়স্কদের মাঝে

আমাদের প্রতিদিন
3 weeks ago
65


নিজস্ব প্রতিবেদক:

কার্তিক মাস শেষের দিকে। এরই মধ্যে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত শহরে-গ্রামে কুয়াশার দেখা মিলছে। রংপুরসহ সারাদেশেই শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে। গরম থেকে শীতের মাঝামাঝি এই সময়ে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ঠান্ডা জনিত অসুখ বা ভাইরাসজনিত রোগ বেড়ে যায়।

শীতের শুরুতেই শিশুদের জ্বর, সর্দি ও কাশি যেন লেগেই থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব রোগের প্রধান কারণ হচ্ছে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ। রোগ এর প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় সহজেই আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। সরেজমিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, ঠান্ডাজনিত রোগ, ডাইরিয়াসহ ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। সেখানে শিশুরা বেশিরভাগ নিউমোনিয়াসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসকরা আসন্ন শীতে রোগ প্রতিরোধে সাবধানতা অবলম্বনের সাথে সুষম, আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ধুলাবালি থেকে মুক্ত এবং এলার্জিজনিত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শরিফুল ইসলাম শীতকালীন রোগের প্রভাব ও সচেতনতার পরামর্শ দিয়ে বলেন, শীতে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে সর্দি কাশি জ্বর ডায়রিয়াসহ ভাইরাল ইনফেকশনগুলো বেড়ে যায়, বিশেষ করে ছোট থেকে যাদের এজমা, হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট আছে, ঠাণ্ডার প্রকোপে এই রোগগুলো বেড়ে যায়। সিজন চেঞ্জের সঙ্গে বডি এডাপ্টেশন ক্ষমতা অনেকটা কমে যায়। যা বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়। বড়দের ক্ষেত্রে এ রোগগুলো দেখা গেলেও শিশু ও বৃদ্ধের ক্ষেত্রে প্রভাব বেশি। যারা এজমা বা হাঁপানি রোগী তাদের চেষ্টা করতে হবে ঠান্ডার প্রকোপ এড়িয়ে চলতে, সাথে এলার্জিজনিত যে খাবার তা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি। কারণ হাঁপানি রোগ মূলত এলার্জিজনিত কারণে হয়। বেগুন, ইলিশ মাছ, হাঁসের ডিম এ খাবারগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি। হাঁপানি রোগীর ক্ষেত্রে, সাথে সাথে গরম কাপড় পরিধান করে নাক ও মুখ ঢেকে ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করার কথা বলেন। শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধে ধুলাবালি থেকে দূরে থাকার কথাও বলেন এ বিশেষজ্ঞ।

এছাড়া তিনি রোগ প্রতিরোধে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে ও উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন। সুষমর সাথে আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন, যেন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড জাতীয় খাবার পরিহার করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন তিনি।

আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধে ধুলাবালি থেকে দূরে থাকার কথাও বলেন এ বিশেষজ্ঞ। এছাড়া তিনি রোগ প্রতিরোধে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ঠিক রাখার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়েও উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth