হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি হলেও প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে
হিলি প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুল্ক মুক্ত চাল আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) থেকে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। এই সব চাল টন প্রতি ৪১০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে। তবুও খুচরা বাজারে এর কোন প্রভাব এখনো পড়েনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। আমদানিকৃত চাল বাজারে আসলেই কমে যাবে চালের বাজার বলছেন আমদানিকারকরা।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে জানা যায়, আটাশ জাতের চাল কেজি প্রতি দুই টাকা বেড়ে ৫৮ টাকা, সম্পা কাটারী তিন টাকা বেড়ে ৬৮ টাকা, স্বর্না জাতের চাল কেজি প্রতি দুই টাকা বেড়ে ৪৮ টাকা এবং জিরাশাইল জাতের চাল ৬৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে হিলি স্থলবন্দরের পাইকারী মোকামে ভারত থেকে আমদানিকৃত রতœা আতব জাতের চাল কেজি প্রতি ৫৪ টাকায় এবং স্বর্না জাতের চাল ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানীকারক গ্রæপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, দেশের বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে শুল্কমুক্ত ভাবে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানিকৃত চাল এখনো খোলা বাজারে যায়নি। যার কারনে খুচরা বাজারে এর কোন প্রভাব পড়েনি। তবে দ্রæত এইসব চাল খুচরা বাজারে প্রবেশ করবে সেই সাথে কমে যাবে দাম।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, সোমবার (১১ নভেম্বর) ও মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ৮টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
উল্লেখ্য, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সর্বশেষ গত বছরের ৩০ মার্চ চাল আমদানি হয়েছিল। চাল আমদানিতে শুল্ক ৬২.৫ ভাগ থাকার পরে গত ২০ অক্টোবর আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২৫ ভাগ করে সরকার। পরে ৩১ অক্টোবর চাল আমদানিতে বিরাজমান শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। এখন পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২২ জন আমদানিকারক ৩৩ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানির অনুমতি বা আইপি পারমিট পেয়েছে।