ধানগাছ কাটতে একজনের জায়গায় লাগছে দুইজন কৃষক-লোকসানের আশঙ্কা
নির্মল রায়,গঙ্গাচড়া (রংপুর):
সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে দমকা হাওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঠে পড়ে গেছে আমন ধানের গাছ। আর এই পড়ে যাওয়া ধানগাছ কাটতে একজনের জায়গায় লাগছে দুইজন কৃষক। ফলে আমন ধান কেটে ঘরে তুলতে হচ্ছে দ্বিগুণ খরচ। এছাড়া অনেক ধান খেতেই পোকার উপদ্রব দেখা দিয়েছে।
কৃষকরা বলছেন পড়ে যাওয়া ধান নিয়ে লোকসানের শঙ্কায় দিন পার করছেন তারা।
সরেজমিন উপজেলার কোলকোন্দ, বড়বিলসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, মাঠভরা আমন ধান খেত।
সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে দমকা হাওয়ায় পড়ে গেছে ধানের গাছ। মিশে আছে মাটির সাথে। পড়ে যাওয়া এই ধানগাছ কাটতে বেগ পাওয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ খরচ গুনতে হচ্ছে আমন চাষিদের। মাঝে কিছু জায়গায় কিছু ধান গাছ শক্ত থাকলেও অধিকাংশ জমির ধানগাছ মিশে আছে মাটির সাথে। আর এই ধান কাটতে মাঠেই ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
কোলকোন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলকোন্দ এলাকার কৃষক দুলাল মিয়া বলেন এ বছর ৪ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগাইছি যার অধিকাংশ মাটিতে পড়ে গেছে যা কাটতে দ্বিগুণ শ্রমিক লাগছে। এছাড়া ধান পড়ে যাওয়ায় ফলনও কম হয়েছে।
বড়বিল ইউনিয়নের বাগপুর এলাকার সুরেশ সরকার বলেন আমি ৫ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি যার বেশির ভাগ জমির ধান গাছ পড়ে গেছে এবং কিছু জমির ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, পড়ে যাওয়া
ধানগাছ চার-পাঁচটি ধানের গোছা একসাথে বেঁধে খাড়া করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের । এছাড়া পাকা ধান দ্রুত কাটাসহ পোকার উপদ্রব প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে আমাদের দপ্তর থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।