পলাশবাড়ীতে ছাত্রীকে শিক্ষক কর্তৃক বেপরোয়া বেত্রাঘাত অভিভাবকের অভিযোগ দায়ের
বায়েজীদ পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর রওশনবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছাঃ নবনী আক্তার ফিমা কে শিক্ষক মৌলভী আতোয়ার রহমান গত ১৩ নভেম্বর ক্লাস রুমে এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাত করায় শিক্ষর্থী নবনী অসুস্থ হয়ে পরে, এখবর শুনে স্থানীয় জনসাধারণ ও অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন ও অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।এদিকে শিক্ষর্থীর পিতা মোঃ ফারুকুল ইসলাম মন্ডল এ ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন এবং তার আদুরে সন্তানের উপর এমন অমানবিক নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ১৪ নভেম্বর এক লিখিত অভিযোগ করেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত পাষণ্ড শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন যাতে করে অসৎ বদমেজাজি শিক্ষকদের এমন আচরণে পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
শ্রেণী কক্ষে ছাত্রছাত্রী কে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে এডভোকেট আবেদুর রহমান সবুজ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত করা সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১১’ এ নিম্নলিখিত ১১ ধরনের শাস্তি শ্রেনীকক্ষে নিষিদ্ধ করা হয়েছে-
১. হাত-পা বা কোনো কিছু দিয়ে আঘাত বা বেত্রাঘাত
২. শিক্ষার্থীর দিকে চক বা ডাস্টারজাতীয় বস্তু ছুড়ে মারা
৩. আছাড় দেওয়া ও চিমটি কাটা
৪. কামড় দেওয়া
৫. চুল টানা বা চুল কেটে দেওয়া
৬. হাতের আঙুলের ফাঁকে পেনসিল চাপা দিয়ে মোচড় দেওয়া
৭. ঘাড় ধাক্কা
৮. কান টানা বা ওঠবস করানো
৯. চেয়ার,টেবিল বা কোনো কিছুর নিচে মাথা দিয়ে দাঁড় করানো বা হাঁটু গেড়ে দাঁড় করে রাখা
১০. রোদে দাঁড় করে বা শুইয়ে রাখা কিংবা সূর্যের দিকে মুখ করে দাঁড় করানো
১১.ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে এমন কোনো কাজ করানো, যা শ্রম আইনে নিষিদ্ধ।
যদি কোন শিক্ষক শিক্ষিকা কিংবা শিক্ষা পেশায় নিয়োজিত কোন ব্যক্তি অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী পাঠদানকালে কিংবা অন্য কোন সময় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে উল্লিখিত আচরণ করে তবে তা ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি হবে এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।