গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ, পলাতক স্বামী-শ্বশুর
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় আরফিনা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হাজিরহাট-টাপুরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, গতকাল (১৫ নভেম্বর) শুক্রবার গৃহবূধুর লাশ রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়। নিহত আরফিনা টাপুরচর-হাজিরহাট গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে হাফিজুর রহমান ওরফে ফটিকের স্ত্রী। ফটিক দাঁতভাঙ্গা বাজারের রেডিও-টিভি মেকানিক হিসেবে কাজ করেন বলে জানাগেছে।
অভিযোগ উঠেছে, পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরফিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। এ ঘটনায় নিহতের মা লিপি আক্তার বাদী হয়ে জামাই হাফিজুর রহমান ফটিকসহ ৫জনকে আসামি করে রৌমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, হাফিজুর রহমান ওরফে ফটিকের সঙ্গে ৬ বছর আগে ঠাকুরগাঁ জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের আজগর আলীর মেয়ে আরফিন খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৪ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, হাফিজুর রহমান তার ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে স্ত্রী আরফিনা বাধা দেয়। এ নিয়ে একাধিকবার ওই নারীর সঙ্গে আরফিনার ঝগড়া হয়। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার বাদ আসর ওই নারীর সঙ্গে আরফিনার পরকীয়া নিয়ে ঝগড়া বাধে এবং একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় আরফিনাকে বাড়ির লোকজন মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে। পরে অবস্থার বেগতিক দেখে তাকে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের সবাই পলাতক হয়।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।