নাগেশ্বরীতে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া কিশোরীসহ ১৫জন নারী পেলো ছাগল
শেখ মো. নূর ইসলাম, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া কিশোরীসহ ১৫ জন নারীকে তাদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ছাগল প্রদান করা হয়েছে। কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটি (কেএফএইচ) এর অর্থায়নে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার আশার আলো পাঠশালা যুব ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে বাল্য বিবাহের হাত হতে রক্ষা পাওয়া শিক্ষার্থী, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্তা নারী, কর্মে অক্ষম প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দিয়ে গতকাল পনেরো জন উপকারভোগীর মাঝে বিনা মূল্যে একটি করে তোতাপুরী জাতের মা ছাগল বিতরন করা হয়।
উপকারভোগীরা জানান, ছাগল লালন পালনের মাধ্যমে প্রান্তিক এই মানুষ গুলো স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে আর তাদের জাবনমান উন্নয়ন হবে। উপকার ভোগী কল্পনা খাতুন জানান তিন একজন তালাকপ্রাপ্ত নারী। এক সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে বাবার বাড়িতে থাকতে হচ্ছে তাকে। ছাগলটি পালনের মাধ্যমে তার অনেক উপকার হবে বলেও জানান এই নারী। বাল্য বিবাহের কবল থেকে মুক্ত হওয়া শিক্ষার্থী বৃষ্টি জানায়, তার বাবা দিনমজুর করে কোনোমতে সংসার আর তার পড়াশোনার খরচ চালাতেন। অভাবের তাড়নায় তার বাবা তাকে বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় আশার আলো পাঠশালা তার বিয়ে বন্ধ করে পড়ালেখার সুযোগ করে দেয়। এখন একটি ছাগল পেলো সে। এই ছাগল পালন করে সে তার পড়ালেখার খরচ চালাতে পারবে ভেবে খুশিতে আত্মহারা হয় সে।
আশার আলো পাঠশালার চেয়ারম্যান কুমার বিশ্বজীৎ বর্মনের সভাপতিত্ব বিতড়নকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, কৃষিবিদ কোকিল চন্দ্র বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি রামখানা ইউপি সদস্য রহমতুল্লা ব্যাপারী, শিক্ষক খগেন্দ্র নাথ বর্মন, রামখানা বহুমুখী জনকল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, খামারী খাদেমুল ইসলাম, পরেশ চন্দ্র বর্মন প্রমুখ।